পুলিশ কর্মকর্তারা এখন রাজনৈতিক ভাষায় কথা বলছেন

বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে অস্ত্র জমা করছে-ডিবি পুলিশের এমন দাবি প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তারা এখন রাজনৈতিক ভাষায় কথা বলছেন।’

আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গত শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর আজিমপুর এলাকা থেকে ছাত্রদলের ৬ নেতাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে তাদের পরিবার ও বিএনপি অভিযোগ করে।

আজ সংবাদ সম্মেলনে ডিবি পুলিশ ছয় ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার দেখানোর কথা জানিয়ে তাদের কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায়।

সেই অস্ত্রের ছবি দেখিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এগুলো প্রাগৈতিহাসিক আমলের অস্ত্র। অবৈধ সরকারের নির্দেশে পুলিশ এসব করছে। আমরা বারবার বলেছি, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চলছে। বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও অন্যান্য বাহিনী একইভাবে কাজ করছে।’

ছাত্রদলের নেতাদের নিয়ে ডিবি পুলিশের বক্তব্যকে সম্পূর্ণ বানোয়াট আখ্যা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এগুলো ডাহা মিথ্যা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

আরও পড়ুন: নিখোঁজ ছাত্রদলের সেই ৬ নেতাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার দেখালো ডিবি পুলিশ

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন সন্ত্রাসের কথা। কিন্তু সন্ত্রাসটা কোথায় হলো? অস্ত্র তোমাদের হাতে, আইন তোমাদের হাতে। এগুলো রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী পার্টি। আমাদের কাছে তথ্য আছে, প্রয়োজনে আমরা দেখাবো। বিচারপতিদের বলা হচ্ছে, দ্রুত সাজার রায় দিতে। তারা পুরো মাঠ খালি করে দিতে চায়।’

ভারতের বার্তায় বিএনপি ভয় পেয়েছে-সরকারি দলের নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা তো আন্দোলনে আছি। এই রিপোর্টেরে বিষয়ে অথেনটিক (বস্তুনিষ্ঠ) কিছু এখনো দেখছি না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রতিদিন পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। যেভাবেই হোক সরকার বিরোধীদলকে মাঠ থেকে সরিয়ে আবার ক্ষমতায় থাকতে চায়। এটাই একমাত্র লক্ষ্য।’

সামনে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও সহিংসতার দিকে যাচ্ছে কিনা-এ প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার কি চায় তার ওপর নির্ভর করবে। আমরা যে দাবি করেছি সরকারকে সেই দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে। সরকার নিজেরা সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করছি।’