রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১০ আগস্ট, ২০২৩ ১০:৩১ : পূর্বাহ্ণ
ভেঙে দেয়া হয়েছে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট। গতকাল বুধবার দিনশেষে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সুপারিশে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি। এর ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের পথ উন্মুক্ত হয়ে গেল। কিন্তু সেই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করে বিদায়ী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের জন্য তিন দিন সময় দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। সেই সরকার ৯০ দিনের মধ্যে আগামী নির্বাচন সম্পন্ন করার কথা। তবে বিদায়ী সরকার বলেছে, নির্বাচন আগামী বছর মার্চ পর্যন্ত বিলম্বিত করা হতে পারে।
বিভিন্ন রিপোর্টে বলা হচ্ছে, পাকিস্তান সরকার নির্বাচনকে বিলম্বিত করার কথা বিবেচনা করছে। কারণ, তারা নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের কথা উদ্ধৃত করেছে। বলেছে, এসব ইস্যু আর্থিক সংকটে থাকা দেশটিকে অস্থিতিশীলতার হুমকি বাড়াচ্ছে। পাকিস্তানের অস্থিতিশীলতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রও সতর্কতা দিয়েছে।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেছেন, পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করতে পারে এমন যেকোন কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে সহিংস কর্মকাণ্ড নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আরও খোলামেলাভাবে বলা যায়, সন্ত্রাস মোকাবিলার ইস্যুতে যখন আমাদের অভিন্ন স্বার্থ আসে, তখন সেটা যেকোনো দেশে হলেও আমরা উদ্বিগ্ন।
২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ পার্লামেন্ট নির্বাচনে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) দল সবচেয়ে বেশি আসনে বিজয়ী হয়। এর তিনদিন পর সাবেক এই ক্রিকেটার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। এখন আবার নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। কিন্তু এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না তিনি। তোষাখানা মামলায় জেল হওয়ায় নির্বাচন কমিশন তাকে ৫ বছরের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন ইমরান খানের জনপ্রিয়তা এবং তার উৎখাত উভয় ক্ষেত্রেই দেশটির সেনাবাহিনীর বড় ভূমিকা আছে। তিনি ক্ষমতার শেষের দিকে এসে দেশটির শক্তিধর সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন। অভিযোগ করেন, তারা রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে। এমনকি তিনি সেনাবাহিনীর একজন সিনিয়র গোয়েন্দা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। বলেন, নভেম্বরে তাকে হত্যা চেষ্টার মূল হোতা ছিলেন ওই সেনা কর্মকর্তা।