রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৯ জুলাই, ২০২৩ ৪:৪১ : অপরাহ্ণ
‘দুপুর দেড়টা। মাতুয়াইল মেডিকেল এলাকায় সান্টো ফিলিং স্টেশনের সামনে ঢাকা-কুমিল্লা রুটের তিশা পরিবহনের একটি বাস রাখা ছিল। সেখান থেকে বাসটি বের হয়ে মহাসড়কে ওঠার সময় এটিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। বাসে আগুন দেয়ার কয়েক মিনিট আগেই সেখান থেকে মিছিল নিয়ে যান আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিল পুলিশও। তখনই একটি মোটরসাইকেলে করে আসা তিন ব্যক্তি বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ’
এভাবেই ঘটনাস্থলের বর্ণনা দিয়েছেন প্রতক্ষ্যদর্শী প্রাইভেটকার চালক নয়ন।
তিনি বলেন, ‘তখন ফিলিং স্টেশন এলাকায় বিএনপির বিক্ষোভ দেখা যায়নি।’
অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত তিশা পরিবহন বাসটির চালক মো. ছানাউল্লাহ একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘তিন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে বাসের কাছে আসে। তখন আমাকে বাস থেকে নেমে যেতে বলে। আমাকে বলা হয় তুই বাস থেকে না নামলে তোকেসহ বাস জ্বালিয়ে দেবো। এ সময় তাদের হাতে পেট্রোল ছিল। আমি নামার পরে তারা আগুন দিয়ে বাস পুড়িয়ে দেয়।’
ছানাউল্লাহ বলেন, ‘বাসে আগুন দেয়ার সময় পুলিশ বাসের দুই দিকেই অবস্থান করছিল।’
এদিকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাতুয়াইল মেডিকেল মোড়ে গুলিস্তানমুখী স্বদেশ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয়া হয়।
বাসটির চালক ইমরান হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি যাত্রী নিয়ে গুলিস্তানের দিকে যাচ্ছিলেন। মাতুয়াইল মেডিকেল মোড়ে পুলিশ গাড়ি আটকে তাকে ঘুরিয়ে দেয়। তিনি মেডিকেল মোড়ে ইউটার্ন নিয়ে যাত্রী নামানোর জন্য দাঁড়াতেই কয়েকজন হেলমেট পরিহিত ব্যক্তি এসে বাসের পেছনের দিকে পেট্রোলজাতীয় কিছু ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা চালক ইমরানকে মারধর করে বাসের চাবিও ছিনিয়ে নেয়।’
মাতুয়াইল মেডিকেল মোড়ে তুরাগ পরিবহনের একটি মিনিবাসে ১টার দিকে আগুন দেয়া হয়। তবে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নিভিয়ে ফেলা হয়।
মাতুয়াইলে ঘটনাস্থলে থাকা র্যাব-১০ এর পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিভিন্ন গলি থেকে বের হয়ে বাসে কিছু ব্যক্তি অগ্নিসংযোগ করেছে। যারাই এ ধরনের নাশকতামূলক কাজে জড়িত, তাদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: গয়েশ্বরকে বেধড়ক পেটালো পুলিশ