রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৮ জুলাই, ২০২৩ ১১:২৫ : পূর্বাহ্ণ
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। গতবারের চেয়ে এবার পাসের হার কমেছে। এমনকি গত বছরের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ কম পেয়েছে ৮৬ হাজার ২৪ শিক্ষার্থী।
এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড (এসএসসি), মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
সেই হিসাবে এবার সম্মিলিত পাসের হার কমেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার হলো ৮০ দশমিক ৯৪ শতাংশ। মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৪.৭০ শতাংশ। আর কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮৬.৩৫ শতাংশ।
গত বছর সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ছিলো ৮৮.১০ শতাংশ, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে ছিলো ৮২. ২২ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে ছিলো ৮৯.৫৫ শতাংশ।
সে হিসাবে এবার সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাশের হার কমেছে ৭.১৬ শতাংশ, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে কমেছে ৭.৫২ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে কমেছে ২.৯ শতাংশ।
এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন।
গত বছর তিনটি বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন।
সেই হিসাবে এ বছর জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৮৬ হাজার ২৪ জন।
এ বছর সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২২০ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ লাখ ৩৫ হাজার ৪৯০ জন। এবার জিপিএ-৫ কম পেয়েছে ৭৬ হাজার ২৭০ শিক্ষার্থী।
মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ২১৩ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৫ হাজার ৪৫৭ জন।
আর কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে ভোকেশনাল ও দাখিল ভোকেশনালে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ১৪৫ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৮ হাজার ৬৫৫ জন।
আরও পড়ুন: এসএসসির ফল যেভাবে জানা যাবে
এর আগে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে আজ সকাল ৯টা নাগাদ গণভবনে শিক্ষামনন্ত্রী ডা. দীপু মনি ফলাফলের কপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন।
অন্যান্য বছর কর্মদিবসে ফল প্রকাশ করা হলেও এবার প্রথমবারের মতো সরকারি ছুটির দিন ফল প্রকাশ করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।
সকাল সাড়ে ১০টায় নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এবং অনলাইনে একযোগে ফল প্রকাশিত হয়।
এবারের পরীক্ষায় নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি মিলিয়ে মোট ১১টি বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।