শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

সরকার নির্বাচন কমিশনকে সম্মান করেছে, আরপিও প্রসঙ্গে সিইসি


প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। পুরনো ছবি

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১০ জুলাই, ২০২৩ ৮:২৭ : অপরাহ্ণ

অনিয়মের অভিযোগে ভোট বন্ধে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা কমানো অর্থাৎ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনীতে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা খর্ব হয়নি বলে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তার দাবি, বরং আরপিও সংশোধনে ক্ষমতা সুসংহত হয়েছে। নতুন সংশোধনী নিয়ে অহেতুক সমালোচনা হচ্ছে। ইসিকে হেয় এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই এসব সমালোচনা হচ্ছে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আরপিও’র বেশ কিছু ধারায় সংশোধনের প্রস্তাব করেছিল ইসি। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে ৪ জুলাই আরপিও সংশোধন বিলটি সংসদে পাস হয়।

এ বিষয়ে কমিশনের প্রতিক্রিয়া জানাতে সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সরকার নির্বাচন কমিশনকে সম্মান করেছে। ইসির প্রস্তাবিত সংশোধনে সম্মত নাও হতে পারত। ইসির প্রস্তাবে সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে। কমিশনের প্রস্তাব পাস হয়েছে।’

সংসদে বিলটি উত্থাপণ ও পাস হওয়ার পর থেকেই এই সংশোধনী নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সহ অনেক সংগঠন আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে সমালোচনা করেছে। সাবেক নির্বাচন কমিশান ড. এম সাখাওয়াত হোসেনসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও সমালোচনায় সরব ছিলেন।

কেউ কেউ বলেছেন, ইসি নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মেরেছে। পাশাপাশি একাধিক রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে এই সংশোধনী নিয়ে।

আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন এখন ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত হয়েছে: গণতন্ত্র মঞ্চ

তবে নির্বাচন কমিশন ছিল পুরোপুরি নিশ্চুপ। ইসির প্রস্তাবে কোনো নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরে অনিয়মের অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে পুরো নির্বাচনী আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা চাওয়া হয়েছিল।

সদ্য পাস হওয়া সংশোধিত নতুন আরপিও অনুযায়ী ভোটের পর ফলাফল স্থগিতের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এক বা একাধিক কেন্দ্রের। পুরো নির্বাচনের ফল বাতিলের ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।

বিলটি পাসের সময় বিরোধীদলীয় সদস্যদের সমালোচনার জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদে বলেন, “একটি আসনে শতাধিক ভোটকেন্দ্র থাকে। দুচারটি কেন্দ্রের ‘গন্ডগোলের’ কারণে পুরো নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া অগণতান্ত্রিক।”

আজ সংবাদ সম্মেলনে সিইসির কাছে একাধিকবার প্রশ্ন ছিল, তফসিল ঘোষণার পরে নির্বাচনে গণ অনিয়মের পরিস্থিতি তৈরি হলে ইসি কি সিদ্ধান্ত নিতে পারবে?

জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল অনেকটা বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, ‘আইনের বাইরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার ইসির আছে। ইন-হ্যারেন্ট পাওয়ার (সহজাত ক্ষমতা) রয়েছে।’

সিইসি বলেন, ‘অনিয়মের কারণে যে কোনো পোলিং সেন্টার বা পুরো নির্বাচনী এলাকা বাতিলের বিধান সংযোজনের প্রস্তাব করেছিল ইসি। সরকারের তরফে বলা হয়েছে– যেখানে প্রভাবিত হবে, যে কেন্দ্রগুলোতে বাধাগ্রস্ত হবে, সে কেন্দ্রগুলো বাতিলের ক্ষমতা দেওয়া হোক। এ বিষয়ে কমিশনের মতামত চেয়েছে সরকার। কমিশন তাতে সম্মত হয়ে বলেছে– এটা যৌক্তিক। এটি সম্পূর্ণ নতুন ধারা। কমিশনের প্রস্তাবে সংসদ থেকেও কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। বিল আকারে পাস হয়, এটি আইন আকারে গেজেট হয়েছে।’

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর