বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা বিএনপি

সরকার পতনের এক দফার আন্দোলন হবে ভিন্ন রকম: ফখরুল



রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১ জুলাই, ২০২৩ ৭:৪৮ : অপরাহ্ণ

সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনের ধরণ ‘ভিন্ন রকম’ হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে চলমান আন্দোলন সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারুণ্যের সমাবেশ হচ্ছে, সামনে আমাদের পদযাত্রার কর্মসূচি শুরু হবে। আমরা আশা করি, এক দফাতে আমরা আন্দোলন শুরু করব। আমাদের যে ১০ দফা, অন্যান্য যুগপৎ আন্দোলনকারী দলগুলোর দফাগুলো মিলিয়ে একটা দফায় আন্দোলনে যাব। সেটা হচ্ছে এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠান- এগুলোকে নিয়ে আমরা একটা জায়গায় আসছি।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সেটা নিঃসন্দেহে গত আন্দোলনগুলোর চাইতে ধরনও হবে একটু ভিন্ন এবং জনগণের সম্পৃক্ততাও বাড়বে। একটা ব্যাপারে আমরা নিশ্চয়তা দিতে পারি যে, আমাদের এই আন্দোলন প্রথম থেকেই যেটা শুরু করেছি সেটা হচ্ছে যে, জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলন। এই আন্দোলনে জনগণের অনেক বেশি সম্পৃক্ততা আসবে। আমি বিশ্বাস করি, এই আন্দোলনের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে সরকার বাধ্য হবে নতি স্বীকার করে পদত্যাগ করে একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে।’

এক দফার আন্দোলনের ধরন কেমন হবে, হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি থাকবে কিনা জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি, আমরা হরতাল-অবরোধের মতো কোনো কর্মসূচি সচেতনভাবে চাচ্ছি না। আমাদের ভায়োলেন্সে যাওয়া প্রশ্নই উঠতে পারে না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার যদি কোনোভাবে ওইসব দিকে ঠেলে দেয় তা সরকারের দায়। শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনটা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে যেতে চাই।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে লুট করা। আমি বলি যে, বর্গীদের মতো। বাংলাদেশে বর্তমানে যে অবৈধ সরকার ক্ষমতায় চেপে বসে আছে তাদের আচরণ পুরোপুরি বর্গীদের মতো। আসবে লুট করে নিয়ে চলে যাবে। সমস্ত জায়গায় চুরি, সমস্ত জায়গায় দুর্নীতি.. এটাকে তারা উন্নয়ন বলে। সেজন্য ওরা বাগাড়ম্বর করে কথা বলে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এতোই যদি উন্নয়ন হয়ে থাকে, কৃষি ক্ষেত্রে যদি স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে আজকে কেনো প্রতি বছর প্রায় ৫৪ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশষ্য আমদানি হয়? মরিচের দাম বেড়েছে, আদার দাম তো একদিনে ২‘শ টাকা কেজিতে বেড়ে গেছে। এরকম প্রক্যেকটা আইটেমের দাম বেড়েই চলেছে। দেশটাকে তারা মূলত আমদানি নির্ভর করে ফেলেছে। এর কারণটা হচ্ছে একটাই, আমদানি করতে গেলে যে কমিশন পাওয়া যায়, যে লাভটা হয় এটাই হচ্ছে প্রধান বিষয়।’

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর