শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৭ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা দেশজুড়ে

প্রেমের টানে নোয়াখালীতে ছুটে এলেন মালয়েশিয়ান তরুণী


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১ জুলাই, ২০২৩ ৭:১৬ : অপরাহ্ণ
ফরহাদ হোসেন ও স্মৃতি আয়েশা বিন রামাসামি দম্পতি। ছবি: সংগৃহীত
Rajnitisangbad Facebook Page

প্রেমের টানে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে নোয়াখালীর প্রেমিক ফরহাদ হোসেনের কাছে ছুটে এসেছেন মালয়েশিয়ান তরুণী স্মৃতি আয়শা বিন রামাসামি (২২)। আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে গত ২৫ জুন বিয়ে করেন প্রেমিক-প্রেমিকা।

জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় একই কোম্পানিতে চাকরির সুবাধে ফরহাদের সাথে পরিচয় হয় রামাসামির। একপর্যায়ে দুইজনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে।

চলতি বছর দেশে ফেরেন ফরহাদ। এর পর ফরহাদের প্রেমে ছুটে আসেন প্রেমিকা রামাসামি। গত ২৪ জুন ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন রামাসামি। পরে একই দিন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর এলাকার বাসায় পৌঁছান তিনি।

রামাসামি বাংলাদেশে আসার পর দিন গত ২৫ জুন এফিডেভিটের মাধ্যমে ফরহাদ ও স্মৃতি আয়েশা বিন রামাসামি বিয়ে করেন।

ফরহাদ (২৬) চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর এলাকার কবির হোসেনের ছেলে।

অনেকেই মালয়েশীয় নববধূকে দেখতে ছুটে আসছেন ফরহাদের বাড়িতে। ভিনদেশী কন্যা পেয়ে খুশি ফরহাদের পরিবার।

বর্তমানে চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর এলাকার বাসায় ফরহাদের সঙ্গে সংসার করছেন মালয়েশীয় এই তরুণী।

ফরহাদ জানান, তিনি মালয়েশীয় একটি কোম্পানিতে প্রায় পাঁচ বছর চাকরি করার পর চলতি বছর দেশে ফিরে আসেন। কর্মক্ষেত্রে তাদের দুজনের পরিচয়। এক সময় পরিচয় প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। একপর্যায়ে তারা দুজই বিয়ে করার সিন্ধান্ত গ্রহণ করেন। এর পর রামাসামি বাংলাদেশে আসেন। তিনি আসার একদিন পরই তারা বিয়ে করেন।

বিয়ের পর ভাঙা ভাঙা বাংলায় রামাসামি বলেন, তিনি ফরহাদকে ভালোবাসেন। শ্বশুর বাড়ির লোকজন অথিতিপরায়ণ। সবার আন্তরিকতা খুব ভালো লাগছে। শ্বশুরের পরিবারের সবাই তাকে আপন করে নিয়েছেন। বাংলাদেশি খাবার এবং পরিবেশ তার ভালো লেগেছে। এটা তার স্বামীর দেশ। এ দেশকে তিনি ভালোবাসেন।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর