রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৯ জুন, ২০২৩ ৩:০৫ : অপরাহ্ণ
ভয়াবহ লোডশেডিং বন্ধ এবং বিদ্যুৎ সংকট সমাধানের দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চের জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ শেষে সচিবালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে গেলে জিরো পয়েন্ট মোড়ে তাদের মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মীরা। দুপুর ১টা ১৫ মিনিটের দিকে তারা সচিবালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে রওনা হন।
মিছিলটি প্রেসক্লাব থেকে পল্টন মোড় হয়ে জিরো পয়েন্ট মোড়ে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
মিছিলে বাধা দেওয়ায় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা-কর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন পুলিশের সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা–কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় গণতন্ত্র মঞ্চের কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
মিছিলে বাধা দেওয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার পেট্রোল ইন্সপেক্টর শেখ বাশার বলেন, সচিবালয় সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এখানে হুট করেই কেউ মিছিল নিয়ে আসতে পারেন না। তাই গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিল নিয়ে এখানে আসার কোনো সুযোগ নেই। এজন্যই মিছিলে বাধা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের বাধায় সচিবালয়ের দিতে যেতে না পেরে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা-কর্মীরা আব্দুল গনি রোডের জিরো পয়েন্ট মোড়ে বসে সমাবেশ শুরু করেন।
সমাবেশ থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের নতুন কর্মসূচি আগামী ১৯ থেকে ২১ জুলাই ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোড মার্চ ঘোষণা করা হয়।
এই সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, দেশের অর্থনীতির অবস্থা খুবই খারাপ। জনগণের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে এ সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এ সরকারকে আগে পদত্যাগ করতে হবে। এ মুহূর্তে দরকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এ সরকারের কাছে বাংলাদেশের জনগণ বিদ্যুৎ পাবেন না, নিরাপত্তা পাবেন না, ভোট দিতে পারবেন না। এ সরকারের যাবার সময় হয়েছে। এ সরকার হচ্ছে স্বৈরাচারী, বদমাশ, লুটপাটের সরকার। এ সরকার আগে আমাদের ভয় দেখাতো। জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য নানা কায়দা দেখাতো। এজন্যই আমরা বলি, তোমাদের সময় হয়েছে, তোমরা এবার যাও।
সরকারকে উদ্দেশ করে সাইফুল হক বলেন, আমরা গণতন্ত্র মঞ্চ বলছি, এখনো আপনাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার একটি রাস্তা খোলা আছে। এখন পর্যন্ত সংকট সমাধানের রাস্তা খোলা আছে। এর মধ্যে যদি সরকার ব্যবস্থা না নেয়, তবে ঈদের পর গণতন্ত্র মঞ্চ আরও শক্তিশালী হবে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, মানুষ বিদ্যুৎ সংকটে নাকাল অবস্থায় আছেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখীতে তারা কুপোকাত হয়েছেন। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়ার নামে সরকার যা করলো; এখন বিদ্যুতের দাম কত কত হয়েছে তা আপনারা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। সমস্ত পণ্য তৈরি করতে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। ফলে সব জিনিসের দাম বিদ্যুতের দাম বাড়ার ফলে বেড়ে গেছে।