বুধবার, ১ মে, ২০২৪ | ১৮ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২১ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা বিএনপি

এখন তাদের লাফালাফি কমে গেছে, সরকারকে ‘খোঁচা দিলেন’ ফখরুল


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৯ মে, ২০২৩ ৭:১৯ : অপরাহ্ণ
আজ বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
Rajnitisangbad Facebook Page

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের এখন  লাফালাফি কমে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, “কত লাফালাফি করেছে। এই তো ক’দিন আগেই তাদের কত দম্ভ। এখন কিন্তু লাফালাফি কমে এসেছে। এখন বলছে-‘আমরা সংঘাত চাই না, আলোচনা চাই’। অথচ সেদিনও আমাদের সিনিয়র নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমানের গাড়ি ভেঙেছে, নিপুণের মাথা ফাটিয়েছে। নরসিংদীতে খোকন-শিরিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।’’

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‌‘সরকার হঠাৎ করে বলছে আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্স বাড়ছে। কী এমন জাদু তৈরি হলো যে, রেমিট্যান্স বেড়েছে? রেমিট্যান্স বাড়ার মূল কারণ, চুরি হওয়া টাকা ফেরত আনছে লুটেরারা।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‌‘মনে রাখতে হবে, তারা (সরকার) আমাদের ফাঁদে ফেলতে চাইবে। গাড়ি পোড়াবে তারা, অগ্নিসংযোগ করবে তারা, কিন্তু দায়ভার দেবে আমাদের ওপর।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে বর্তমান আওয়ামী লীগ আবারও ভিন্ন আঙ্গিকে একদলীয় বাকশাল করতে চায়। তারা আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করেছে। কিন্তু আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা লড়াই করছি। তার নেতৃত্বে আমরা নতুন স্বপ্ন দেখি। যেখানে ন্যায়-সমতার ভিত্তিতে হবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।’

জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অন্যতম একজন জিয়াউর রহমান। তার জানাজায় ২০-২৫ লাখ মানুষ শরিক হয়েছিলেন। তারা সবাই সেদিন ডুকরে কেঁদেছিলেন। কারণ জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বাংলাদেশ অনিরাপদ হয়ে পড়ে। সে সময় বিখ্যাত টাইম পত্রিকার সাংবাদিক লিখেছিলেন- ‘রিকশাওয়াল রিকশার পেছনে জিয়াউর রহমানের ছবি লাগিয়েছিলেন। সব কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। কৃষকরা কৃষিকাজ বন্ধ করেছিলেন।’ কারণ এত ভালো মানুষ আর তারা পাবেন না। এটাই হচ্ছে জিয়াউর রহমান।’’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জিয়াউর রহমান আবারও ১৯৭৫ সালের নভেম্বরে সেনানিবাসে বিদ্রোহ দমন করেছিলেন। তিনি দেশের সবচেয়ে কঠিন সময়ে জাতির হাল ধরেছেন। ১৯৭৫ সালে দেশের একদলীয় শাসনের হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করেছিলেন। সুতরাং তার সম্পর্কে যা খুশি বলা হোক না কেন তাকে মানুষের হৃদয় থেকে মুছে দেওয়া যাবে না।’

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, মো. আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা নাসির উদ্দিন অসীম, অঙ্গসংগঠনের নেতাদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মৎস্যজীবী দলের মো. রফিকুল ইসলাম মাহতাব, মো. আব্দুর রহিম, কৃষকদলের শহীদুল ইসলাম বাবুল, ওলামা দলের মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর