বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ | ১১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৪ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা আবহাওয়া

কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৩ মে, ২০২৩ ১২:৪৭ : অপরাহ্ণ
ছবি: সংগৃহীত
Rajnitisangbad Facebook Page

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আরও এগিয়ে আসছে। এ কারণে কক্সবাজার উপকূলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আগামীকাল রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে সিডরের মতো বিধ্বংসী জলোচ্ছ্বাস নিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।

আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ আট নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

এদিকে আজ দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, বাতাসের গতিবেগ কমে যাওয়ায় ঘূর্ণিঝড় মোখা সুপার সাইক্লোন হচ্ছে না। এটি অতি প্রবল (ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোন) ঘূর্ণিঝড়।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী মোখার গতি ঘণ্টায় ২২১ কিলোমিটার হবে বলে জানিয়েছে। ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার বা তার চেয়ে বেশি হলে তাকে সুপার সাইক্লোন বলা হয়।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের নাম কেন ‘মোখা’

এর আগে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির যুগ্ম পরিচালক মো. আসাদুর রহমান বলেন, সেন্টমার্টিন, টেকনাফ, উখিয়া অঞ্চলে মোখার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে। এটি যখন তীরে আছড়ে পড়বে তখন বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১৬০ কিলোমিটারের বেশি। এর প্রভাবে যে বৃষ্টি হবে, তাতে পাহাড় ধসের শঙ্কা আছে। একটানা আট ঘণ্টার বেশি প্রবল বৃষ্টি হলে পাহাড়ধসের আশঙ্কা থাকে। প্রবল বৃষ্টির হতে পারে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে। সিলেটেও প্রভাব থাকবে তবে, ঢাকায় কম হবে।

আবহাওয়াবিদ ড. মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেছেন, প্রত্যেকটা সাইক্লোনের বৈশিষ্ট্য স্বতন্ত্র। সিডরের সঙ্গে এর তুলনা হলো, যতক্ষণ পর্যন্ত এটা বঙ্গোপসাগরে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত এর শক্তি ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকবে। উপকূলে যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত এটা শক্তি সঞ্চয় করতে থাকে। বর্তমানে সাগরে অবস্থানকালীন মোখার দমকা বাতাসের সঙ্গে যে ঝড়ো হাওয়া বইছে তার সঙ্গে সিডরের মিল রয়েছে। উপকূল অতিক্রম করার সময় কোনো কোনো ক্ষেত্রে বৈশিষ্ট্য, গতিবেগ, দমকা বাতাস বা ঝড়ো হাওয়ার ধরন পরিবর্তন হয়। সে কারণে বাতাসের গতিবেগ কম বেশি হয়। তাই সিডরের মতো হবে এ রকম না বলে প্রায় সিডরের সমতুল্য গতিবেগ নিয়ে মোখা মিয়ানমার ও কক্সবাজার উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে।

কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ১৫ থেকে ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের প্রবল আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ১০ থেকে ১২ ফুট।

আরও পড়ুন: ঝুঁকিতে সেন্টমার্টিন, বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর