গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আলোচিত স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের করা রিটটি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ফলে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিন্ধান্ত বহাল থাকলো বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আজ সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাহাঙ্গীর আলমের করা রিটের শুনানি শেষ হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করছেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল।
তবে রিট খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে করবেন বলে জানিয়েছেন রিটকারি জাহাঙ্গীর আলম। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।
জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ঋণখেলাপির অভিযোগে গত ৩০ এপ্রিল বাতিল ঘোষণা করেন গাজীপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে জাহাঙ্গীরের করা আপিল নামঞ্জুর করেন ঢাকা বিভাগীয় নির্বাচন কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম। এরপর এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন জাহাঙ্গীর আলম।
জাহাঙ্গীরের মনোনয়ন বাতিল হলেও মেয়র পদে জাহাঙ্গীর মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাহাঙ্গীর আলম দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি করপোরশেন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দলীয় প্রতীকে মেয়র নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর আলম। তবে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে জাহাঙ্গীরকে দল থেকে বহিষ্কার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
এরপর জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তবে ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে গাজীপুরের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।
এদিকে কারামুক্ত হয়ে ফের নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন দাখিল করেন তিনি। আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
