শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা বিএনপি

সরকার আবার গুম-খুনের সংস্কৃতি চালু করেছে: ফখরুল


রাজধানীর লেডিস ক্লাবে বিশিষ্ট নাগরিক ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৭ মার্চ, ২০২৩ ১১:২১ : অপরাহ্ণ

সরকার দেশে আবার হত্যা-গুম-খুনের সংস্কৃতি চালু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

নওগাঁ শহরে আটকের পর র‌্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘র‌্যাবের হেফাজতে নওগাঁয় সরকারী কর্মচারী এক নারীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে বলা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।’

আজ সোমবার রাজধানীর ইস্কাটেনর লেডিস ক্লাবে বিশিষ্ট নাগরিক ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সুলতানা জেসমিন বাসা থেকে অফিসে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তাকে র‌্যাব তুলে নিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে। ৩৬ ঘণ্টা পর এ ঘটনায় এফআইআর হয়নি। মারা যাওয়ার পর আবার তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা করা হয়েছে। অর্থাৎ আবার র‌্যাবের হাতে সাধারণ একজন মানুষ যিনি চাকরি করেন তার মৃত্যু হলো।’

আরও পড়ুন: র‌্যাব হেফাজতে নারীর মৃত্যু

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার শুধু নিজেদের ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য হত্যা, গুম, খুন, মিথ্যে মামলা দিয়ে একটি ভয়ের সংস্কৃতি চালু করেছে, একটি ত্রাসের সংস্কৃতি চালু করেছে। এভাবেই তারা আজকে দেশকে শাসন করতে চায়।’

এর আগে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে আয়োজিত এক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে মির্জা ফখরুল বর্তমান সরকারকে পাকিস্তান বাহিনীর প্রেত্মাতা বলে মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ এখন এটা একাত্তর সালের পাকিস্তান বাহিনীর এবং পাকিস্তার শাসকের প্রেত্মাতার বাংলাদেশ। পাকিস্তানিরা যেভাবে শাসন, শোষণ ও মানুষের রক্ত চুষে নিয়েছে একইভাবে এই আওয়ামী লীগের সরকার যারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে তারা একইভাবে বাংলাদেশের মানুষকে শোষণ করছে, তাদের রক্ত শোষন করছে এবং মানুষকে তারা ভয়ংকরভাবে নির্যাতন করছে।’

গণসমাবেশে সারাদেশের রনণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেন। তাদের হাতে ছিলো বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। গণসমাবেশে মঞ্চে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্যে একটি চেয়ার সংরক্ষিত রাখা হয়।

অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের সাতজনের (তারেক রহমান, শ্যামা ওবায়েদ, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, ইশরাক হোসেন, নিপুণ রায় চৌধুরী, সোনিয়া সান্তা, জামাল হোসেন টুয়েল) হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়।

জিয়াউর রহমানের ছেলে তারেক রহমানকে দেওয়া বাংলাদেশের পতাকা গ্রহণ করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী, ফজলুর রহমান, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, জয়নুল আবদিন, সিরাজুল হক প্রমুখ।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর