রাজধানীর ধানমন্ডি সায়েন্সল্যাব এলাকার একটি তিনতলা ভবনে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন পাঁচজন। আর আহত হয়েছেন ৮ জন।
পরে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ৩০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিস্ফোরণে তিনতলা ভবনের এক পাশের আংশিক দেয়াল ধসে পড়েছে।
দগ্ধদের তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। আহত আটজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ রোববার সকাল পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা কলেজের উল্টো দিকে বসুন্ধরা গলির শিরিন ম্যানশন নামক ভবনে এসির বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
মৃতরা হলেন-শফিকুজ্জামান, আব্দুল মান্নান ও তুষার। তারা ওই ভবনের তৃতীয় তলার লায়রা প্রোডাক্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী ছিলেন।
দগ্ধরা হলেন সৈয়দ আকবর (৫২), আশরাফুজ্জামান (৩৬), আশা (২৫), জহুর আলী (৫২), হাফিজুর রহমান (৪৫)। আহত হয়ে ঢামেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন জাকির হোসেন (৩৫), মেহেদি হাসান (২৫), অজ্ঞাতনামা (৩০), রাবেয়া খাতুন (১৭), কবির হোসেন (৩২), তাজ উদ্দিন (৪৫), নুর নবী (২৪) ও কামাল হোসেন (৪০)।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালেদা ইয়াসমিন জানান, এসির বিস্ফোরণের পর ভবনটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে চারটি ইউনিট আগুন নেভাতে যায়। বেলা ১১টা ১৩ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘ভবনটি বর্তমানে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভবনের তৃতীয় তলায় ফিনিক্স ইন্সুরেন্স ও লায়রা প্রডাক্ট নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম পেয়েছি। নিহতের মধ্যে তুষার লায়রা প্রডাক্ট নামের প্রতিষ্ঠানটির কম্পিউটার অপরেটর, শফিকুজ্জামানের বাড়ি শরীয়তপুর তিনিও কম্পিউটার অপরেটর ছিলো। এছাড়া নিহত আব্দুল মান্নানের বাড়ি লালবাগ এলাকায়। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী ছিলেন।’
বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডাক্তার সামন্ত লাল সেন জানান, এখানে পাঁচজনকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুই থেকে তিনজনের অবস্থা খুবই গুরুতর।
