রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২:০১ : অপরাহ্ণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দুই দফা হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলায় অনুষ্ঠানটি পণ্ড হয়ে যায়।
হামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামসহ অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এর মধ্যে গুরুতর আহত ১১ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহতরা হলেন-ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, আখতার হোসেন (২২), মামুনুর রশিদ (২৫), নুসরাত তাবাসসুম(২৫), ইব্রাহিম নিরব (২৩), সম্রাট হোসেন (২৫), সাব্বির হোসেন (২২), রুবেল হোসেন(২৬), মাসুম বিল্লাহ (২৩), ফয়সাল মোল্লা (২৫), রহমত উল্লাহ (২৩)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে। ছাত্র অধিকারের নেতাকর্মীদের ওপর প্রথমে টিএসসির ডাস চত্বরে এবং পরে ঢাবির কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে দ্বিতীয় দফা হামলা চালানো হয়।
হামলায় আহত ছাত্র অধিকার পরিষদের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশিদ জানান, ছাত্র অধিকার পরিষদের ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে টিএসসিতে আমাদের পূর্ব নির্ধারিত কেক কাটা ও র্যালির কর্মসূচি ছিল। আজ সকালে আমাদের নেতাকর্মী র্যালি বের করার জন্য টিএসসিতে জড়ো হয়। আমরা এসে দেখি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে টিএসসিতে মহড়া দিচ্ছে। আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালি বের করতে চাইলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত আমাদের ওপর হামলা চালায়। ছাত্রলীগের হামলায় আমাদের ৪০-৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল সহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার সভাপতি আসিফ মাহমুদ বলেন, আমরা টিএসসিতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে এলে তারা গেটেই আমাদের বাধা দেয়। বিদ্রুপ করে স্লোগান দিতে থাকে। আমরা চলে যেতে চাইলে আমাদের ওপর কয়েক ধাপে হামলা চালায়। ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রোগ্রামকে ঘিরে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ ছিল শীর্ষ নেতৃবৃন্দের।
মূলত ছাত্র অধিকার প্রোগ্রাম শুরু করার পর থেকেই উত্তেজনার দেখা দেয় টিএসসি ও এর আশেপাশে। পরের পরপরই শুরু হয় সংঘর্ষ। হামলার পর থেকে ক্যাম্পাস এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।