বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৫ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা স্বাস্থ্য

২৮ জেলায় মিলেছে নিপাহ ভাইরাস


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২:৪৪ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

দেশের ২৮ জেলায় নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ কারণে মহাখালীর কোভিড হাসপাতালের শয্যা প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় অধিদপ্তর।

সম্প্রতি সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, চলতি মৌসুমে আটজন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার শতকরা ৭০ শতাংশ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, কাঁচা রস, পাখি খাওয়া ফল খেলে এই রোগ হয়। বাদুড় এই ভাইরাস বহন করে। বাদুড় খেজুরের রস পান করলে সেটি মানুষ পান করলেও হয়। অসুস্থ মানুষের সংস্পর্শে এলে দ্রুত ছড়ায়। তখন মাল্টিপল সংক্রমণ হয়।

জাহিদ মালেক বলেন, এই ভাইরাস থেকে রক্ষায় মানুষকে সচেতন করতে পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা টিভিসি তৈরি করেছি। সংক্রমণ ব্যধি হাসপাতালে আলাদা ইউনিট করে চিকিৎসা দিচ্ছি।

আইইডিসিআরের তথ্যমতে, দেশে ২০০১ সালে মেহেরপুরে প্রথম নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ২০০৩ সালে হয় নওগাঁয়। তবে এর সবচেয়ে বড় প্রাদুর্ভাব হয় ২০০৪ সালে ফরিদপুর জেলায়। সেখানে ৩৫ জন আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ২৭ জন।

গেল ১১ জানুয়ারি বিকেলে মহাখালীর আইইডিসিআর অডিটরিয়ামে ‘শীতকালীন সংক্রামক রোগ ও নিপা ভাইরাস সংক্রমণ’বিষয়ক সেমিনারে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন বলেন, ২০০১ সালে প্রথম নিপা ভাইরাস দেশে শনাক্ত হয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে গড় মৃত্যু ৭১ শতাংশ। বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত এই রোগের সংক্রমণ দেখা দেয়। যখন খেজুরের রস সংগ্রহ শুরু হয়, তখন থেকে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমন দেখা দেয়। চলতি বছর এক জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তবে ২০২২ সালে এই রোগে তিন জন আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে দুই জনের মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: যে কারণে কাঁচা খেজুরের রস হতে পারে মৃত্যুর কারণ

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর