রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ২:৩৩ : অপরাহ্ণ
রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের জনসভা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, ‘বিএনপির সমাবেশে তিনদিন আগে থেকে সব বন্ধ করে দেয় পুলিশ, আর সরকার দলীয়দের কর্মসূচিতে রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করা হচ্ছে।’
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি ও ১২ দলীয় জোটের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের জনসভায় নেতাকর্মীদের যাতায়াতের জন্য ৭টি বিশেষ ট্রেন রাখা হয়েছে-এ বিষয়টি আপনারা কীভাবে দেখছেন—গণমাধ্যমকর্মীদের এই প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের কাছে আওয়ামী লীগ সরকারের চরিত্র এবং কর্মকাণ্ড স্পষ্ট হয়ে গেছে। তারা যে এ দেশে একদলীয় শাসন চাপিয়ে দিচ্ছে, এতে সেটা প্রমাণিত হয়।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমাদের কর্মসূচির সময় ৩ দিন আগে থেকে জোর করে ধর্মঘট করিয়েছে। পুলিশ নামিয়ে দিয়ে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে মোবাইল ফোন পর্যন্ত চেক করেছে। ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশের আগে ১৫ দিন তারা বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। সেই অভিযান হলো তাদের ভাষায় মাদকদ্রব্য-বেআইনি জিনিস প্রতিরোধ করার জন্য হোটেল-রেস্তোরাঁ-ছাত্রাবাসে রেইড করে হাজার হাজার ছেলে-মেয়েদের ধরে নিয়ে গেছে। এটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের কৌশল, বিরোধী দলকে তারা কর্মসূচি করতে দেবে না। আর তারা তাদেরটা করতেই থাকবে এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন যন্ত্রকে ব্যবহার করবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব সময় ডাবল স্ট্যান্ডার্ড প্লে করে। তারা মুখে বলে একটা, কাজ করে আরেকটা। আওয়ামী লীগ আজকে এই দেশে সবচেয়ে বড় যে ক্ষতি করেছে তা হলো, এই দেশের যে চরিত্র; বহুদলীয় গণতন্ত্র, বহুমার্তৃক বিষয়টা ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি, এখন বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সংকট হলো নির্বাচনী ব্যবস্থাই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এটি ছিল বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে উপযোগী ব্যবস্থা।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ দেশের মানুষ জানে না কীভাবে নির্বাচন হবে। মানুষ জানে না সে তার ভোটটা দিতে পারবে কি পারবে না। আওয়ামী লীগ অতীতে যে কাজগুলো করেছে তাতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে যে, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না এবং দলীয় সরকারের অধীনে এখানে কোনোদিন নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয় না।’
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু এবং জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।