রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ১১:৩২ : পূর্বাহ্ণ
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘গণঅভ্যুত্থান নয়, গণআন্দোলনেও ঢেউ তুলতে পারেনি বিএনপি। তাদের আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই। বিএনপির আন্দোলন তাদের নেতাদের মধ্যে সীমিত।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর নবকুমার ইনস্টিটিউটে শহীদ মতিউরের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মিছিলের স্রোত, গোলাপবাগ মাঠ ছাড়িয়ে আশেপাশের এলাকায় মানুষের ঢল
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ছিল স্বাধীনতার পথে চূড়ান্ত মাইলফলক। বিএনপি ৭ মার্চ, ৭ জুন, ১৪ এপ্রিল, ১০ জানুয়ারি, ২৪ জানুয়ারি মানে না, পালন করে না।’
ইভিএম নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে আমরা সব আসনে ইভিএম চেয়েছিলাম। এবারের নির্বাচনেও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি, আমরা সব আসনে ইভিএমের দাবি করেছি। এখন সিদ্ধান্ত আমাদের না, আমরা শুধু দাবি করেছি। এখন নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা তা মেনে নেবো।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার বৈধ অধিকার একমাত্র বঙ্গবন্ধুর ছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৯৭০ সালের নির্বাচনে ১৬৯টি আসনের মধ্যে দুটি ছাড়া ১৬৭টি আসনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিল এবং এই বিজয়ী দলকে পাকিস্তান সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে গড়িমসি করায় বঙ্গবন্ধু এক দফায় চলে যান তা হলো স্বাধীনতা।’
আরও পড়ুন: ৭২-৭৫ সালের কথা বললে আ.লীগের গায়ে জ্বালা উঠে কেন, প্রশ্ন ফখরুলের
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে অনেকেই স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করে। কিন্তু সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার বৈধ অধিকার বঙ্গবন্ধু ছাড়া কারো ছিল না। বঙ্গবন্ধু যে বিপুল সংখ্যক আসনের জয় লাভ করেছিল, একমাত্র তারই বৈধ অধিকার ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা। কাজেই অন্য কারো স্বাধীনতা ঘোষণা করার কোনো অধিকার ছিল না, অন্যরা স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক ছিল। এটা হলো বাস্তবতা।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশের ৭ মার্চের ভাষণ শুনে জেনারেল জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুনে স্বাধীনতার গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছিলাম। দুর্ভাগ্য, আজকে বিএনপি এই দিনগুলো স্বীকার করে না, এই ঐতিহাসিক দিনগুলো পালন করে না।’