রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২২ জানুয়ারি, ২০২৩ ১২:০৮ : অপরাহ্ণ
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির অফিসে ভাঙচুরের ঘটনায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের আবেদন করা হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে মামলার আবেদন করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন,পরে আদেশ দিবেন। বাদীপক্ষে মামলায় শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার।
উল্লেখ্য, গত ৭ ডিসেম্বর বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ দিন রাত থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও নাইটিঙ্গেল থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় পুলিশ। পরে পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালায়।
অভিযান চালিয়ে দলটির কয়েক শ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। কার্যালয় থেকে ককটেল উদ্ধারের কথা জানায় পুলিশ।
চারদিন পর্যন্ত বিএনপি কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখে পুলিশ। চারদিন পর কার্যালয় খুলে দেয় পুলিশ।
কার্যালয় খোলার পর আইনজীবীদের সঙ্গে কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সাংগঠনিক ও ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স অভিযোগ করেন, পুলিশ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে যা ঘটিয়েছে তা একাত্তরের পাক হানাদারদের কর্মকাণ্ডকেও হার মানায়।
আরও পড়ুন: বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে ভাঙচুরের বর্ণনা দিলেন প্রিন্স
তিনি জানান, পুলিশ বাহিনী কার্যালয়ে প্রবেশ করেই শহীদ জিয়াউর রহমানের ম্যুরালের কাচ ভাংচুরের মাধ্যমে তাণ্ডব শুরু করে। এর পর তারা প্রতিটি কক্ষে ভাঙচুর চালায়। তারা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ অন্যান্য নেতার কক্ষের দরজা-জানালার গ্লাস, আসবাব ভাঙচুর করে। তারা ভবনের প্রতি তলায় অবস্থিত রুমে ভাঙচুর করে। তারা কম্পিউটার ভাঙচুর করে সেগুলোর হার্ডডিস্ক নিয়ে যায়।
বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান নিয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর সেখানে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টন কার্যালয়ে ৫০ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতির দাবি বিএনপির
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, পুলিশের কিছু কর্মকর্তা ও সদস্য সেদিন সাদা ব্যাগে করে নিজেরাই ককটেল নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে গেছেন। পরে তারা ককটেল উদ্ধারের নাটক সাজিয়েছেন, যা গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমের কল্যাণে দিবালোকের মতো পরিষ্কার হয়েছে।
বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানে ৫০ লাখ টাকা সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।