শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১০ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা বাণিজ্য

রিজার্ভ আরও কমে ৩২ বিলিয়নের ঘরে


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ৯:৪৩ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমে ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছে। আজ রোববার দিন শেষে রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩২ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার বা তিন হাজার ২৫৭ কোটি ডলার।

এর আগে গত বুধবার দিন শেষে রিজার্ভ ছিল ৩৩ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়েনে (আকু) ১১২ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ এ পর্যায়ে নেমেছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, আকু হলো একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তানের মধ্যেকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। দায় পরিশোধের মতো রিজার্ভ না থাকায় গত অক্টোবরে আকু থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করেছে শ্রীলঙ্কা।

এদিকে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফেরাতে আমদানি দায় কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নতুন এলসি কমলেও আগের দায় পরিশোধের চাপের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার খরচ কমেনি। নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে আমদানি দায় পরিশোধ বেড়েছে ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।

এ সময় বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলারে। সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে ৬ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

কোনো ব্যাংক যেন আমদানি দায় পরিশোধে ব্যর্থ না হয় সেজন্য গত বছর ১২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর প্রভাবে রিজার্ভ কমছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ইতিহাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ২০২১ সালের আগস্টে।

এরপর থেকে করোনার প্রভাব শুরুর আগ পর্যন্ত রিজার্ভ ৩২ থেকে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ওঠানামার মধ্যে ছিল।

করোনার প্রভাব শুরুর পর বিশ্ববাজারে সুদহার অনেক কমে আসে। তখন বিশ্বের অনেক দেশ বিদেশি ঋণ কমালেও বাংলাদেশে বেড়ে যায়। বিশ্ববাজারে দর বৃদ্ধির পাশাপাশি আগের ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে।

রিজার্ভের পতন ঠেকাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) তহবিল থেকে সাড়ে ৪ বিরিয়ন ডলার ঋণ নেওয়ার আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। এছাড়া বিশ্বব্যাংক, জাইকাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার।

সম্প্রতি এশিয়ান ইনফ্রাচটেকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রতিশ্রুত ২৫ কোটি ডলার রিজার্ভে যোগ হয়েছে। এছাড়া নতুন বছরে আইএমএফের প্রতিশ্রুত ঋণ ছাড় শুরুর আশা করা হচ্ছে।

তবে সংস্থাটি থেকে ঋণ নিতে বাংলাদেশকে কিছু সংস্কার করতে হবে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রিজার্ভের হিসাব করতে হবে।

এক্ষেত্রে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের ৭ বিলিয়ন ডলারসহ বিভিন্ন তহবিলে দেওয়া ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বাদ দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এতে সম্মতি হয়েছে। সে বিচেনায় ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ এখন ২৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর