বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রোববার আলোচিত এ মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি।
তাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি নতুন তারিখ ধার্য করেন।
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ওই টাকা তারা ফিলিপাইনের রিজল ব্যাংকে পাঠিয়ে দেয়।
দেশীয় কোনো চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করেছে বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করেন। এর পেছনে উত্তর কোরীয় হ্যাকারদের সংশ্লিষ্টতার তথ্যও এসেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।
এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মামলা করেন।
এরপর ওই মামলার তদন্তে নামে সিআইডি। তদন্ত শেষ করার জন্য সিআইডি এখন পর্যন্ত মোট ৬৯ বার সময় নিয়েছে।
রিজার্ভ থেকে চুরি হয়ে যাওয়া অর্থ উদ্ধার ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন জানিয়ে ২০২০ সালের ২৭ মে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক কাউন্টি সুপ্রিম কোর্টে ফিলিপাইনের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং ১৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে বাংলাদেশ। গত বছরের মার্চে সে মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ার খবর আসে সংবাদমাধ্যমে।
রিজল ব্যাংক থেকে অর্থ তুলে একটি ক্যাসিনোতে নিয়ে যাওয়ার খবর প্রকাশের পর সেই ক্যাসিনো মালিকের কাছ থেকে দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করে বাংলাদেশ সরকারকে বুঝিয়ে দেয় ফিলিপাইন। বাকি অর্থ উদ্ধারে তেমন অগ্রগতি নেই।