নতুন বছরের ১ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)।
মেলা আয়োজনের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা। আগামী ১ জানুয়ারি সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করবেন।
মেলার আয়োজক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, মেলায় সাধারণ দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এবার ১০০টির বেশি বিআরটিসি বাস সার্ভিস থাকবে। যতক্ষণ দশণার্থী থাকবে ততক্ষণ বাস চলাচল করবে।
জানা গেছে, গত বছরের মতো এবারও কুড়িল থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত যাত্রীদের আনা-নেওয়ার জন্য ৫০টি শাটল বাস চালু করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন। বাসের ভাড়া যাত্রীপ্রতি ৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিকাশের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধ করলে যাত্রীরা ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন।
মেলায় প্রবেশ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে বড়দের জনপ্রতি ৪০ টাকা এবং বাচ্চাদের ২০ টাকা।
মেলা খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। তবে ছুটির দিনে এক ঘণ্টা বাড়িয়ে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো জানিয়েছে, এবারের মেলার পরিসর বাড়ানো হয়েছে। এবার দেশি-বিদেশি মিলে মেলায় মোট ৩৫১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন থাকবে। গতবার এই সংখ্যা ছিল ২২৫টি। দেশী প্রতিষ্ঠান ছাড়াও সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া, ভারতসহ ১০টি বিদেশি রাষ্ট্রের ১৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে।
জানা যায়, নানা প্রতিকূলতার পরও গতবার ২৫ লাখ দশনার্থী মেলায় গেছেন। যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুবিধা বাড়ানোর ফলে এবার প্রায় ৫০ লাখ দর্শনার্থী আসবে বলে আশা করছে মেলা কর্তৃপক্ষ ।
প্রসঙ্গত, দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ১৯৯৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৬টি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আয়োজন করেছে।
এর আগে সবগুলো মেলা হতো রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অস্থায়ী কেন্দ্রে। চীনের অর্থায়নে পূর্বাচলে স্থায়ী বাণিজ্য মেলা কেন্দ্র গড়ে তোলার পর এখানেই প্রতিবছর আসর বসবে।
