রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ১১:৩৫ : পূর্বাহ্ণ
গতকালের সংঘর্ষের পর আজও রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। কার্যালয়ে যেতে দেয়া হয়নি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। বিজয়নগর মোড়ে পুলিশ তাকে আটকে দেয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালতে হাজিরা শেষে বিএনপি কার্যালয়ে ঢোকার জন্য নয়াপল্টনের দিকে আসেন মির্জা ফখরুল।
কিন্তু বিজয়নগর মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তিনি। বিএনপি মহাসচিব নয়াপল্টন কার্যালয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেন।
এ সময় মির্জা ফখরুল পুলিশ সদস্যদের বলেন, ‘আমি আমার কার্যালয়ে যেতে পারবো না? এটা কেমন কথা?’
উত্তরে পুলিশকে বলতে শোনা যায়, ‘সরি স্যার, বিএনপি কার্যালয়ে যাওয়ার অনুমতি নেই।’
তখন বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা আমাদের অফিস, আমাদের প্রপার্টি। আমি কেন যেতে পারব না?’
পুলিশ উত্তরে বলে, ‘হতে পারে এটা আপনার অফিস…। আমাদের ক্রাইম সিনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারোরই যাওয়ার অনুমতি নেই। পুলিশের ওপর সেখান থেকে বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। আমরা সেই জায়গাটিকে ‘প্লেস অব অকারেন্স’ হিসেবে বিবেচনা করছি। সিআইডি ক্রাইম সিন নিয়ে কাজ করছে।’
আরও পড়ুন:
পুলিশ বাজারের ব্যাগে করে কার্যালয়ে বোমা নিয়ে গেছে: মির্জা ফখরুল
১০ ডিসেম্বর সমাবেশের কর্মসূচি বহাল, আজ সারাদেশে বিক্ষোভ
পরে মির্জা ফখরুল সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে পার্টি অফিসে যেতে দেওয়া হলো না।’
গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য চক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ এনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপির ১০ তারিখের সমাবেশ নস্যাৎ করতে, গণতন্ত্র ধ্বংস করার জন্য চক্রান্ত হচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক দেশের শর্ত হচ্ছে, রাজনৈতিক দল তার স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। একজন মহাসচিব যদি তার অফিসেই যেতে না পারে…। এখানে গণতন্ত্র তো দূরের কথা, সভ্য সামাজিক পরিবেশেই বিরাজ করছে না।’
নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় খুলে দেওয়া, গ্রেপ্তারদের মুক্তির দাবি জানান মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘১০ তারিখের সমাবেশ যেন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় সেজন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন:
নয়াপল্টনে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ, নিহত ১
রুহুল কবির রিজভীসহ বিএনপির ৭ নেতা আটক