রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৩ নভেম্বর, ২০২২ ৮:০৯ : অপরাহ্ণ
বিশ্বব্যাপী চলছে ফুটবল উন্মাদনা। বাংলাদেশের আনাচে কানাচেও ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বকাপের রেষ। তবে কখনোই বিশ্বকাপের ধারেপাশে যেতে পারেনি বাংলাদেশ ফুটবল দল। আর এই কষ্ট পোড়ায় সমস্ত বাংলাদেশিকে। সব বাংলাদেশির মতো এই কষ্ট পোড়াচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও।
বিশ্বকাপ ফুটবলে বাংলাদেশের অবস্থান না থাকায় কষ্ট পান বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ ফুটবল হচ্ছে, যদিও আমাদের কোনো অবস্থান নেই; এটা আসলে কষ্ট দেয়।’
আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোজ যখনই সময় পাই, খেলা দেখি। তখন এ কথা ভাবি, কবে আমাদের ছেলেরা বা মেয়েরা চান্স পাবে। তবে আমাদের মেয়েরা অনেক ভালো করছে। এটা সন্দেহ নেই। মেয়েরা সাফ গেমস, এশিয়ান গেমসসহ বিভিন্ন গেমসে ভালো ফুটবল-ক্রিকেট খেলছে। আমি মনে করি, আমাদের ছেলেরাও পারবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা ক্রীড়া প্রশিক্ষণের জন্য শুধু ঢাকা নয়, ৮ বিভাগে একটা করে বিএকেএসপি করে দিচ্ছি। যে যে ইভেন্টে আমাদের ছেলেরা খেলার যোগ্য, সেই ইভেন্টগুলোতে যেন চর্চা হয়। বিশেষ করে প্রশিক্ষণ একান্তভাবে দরকার। স্বাধীনতার পর পর জাতির পিতা আমাদের দেশের খেলোয়াড়দের জামার্নি, ভারতসহ অন্যান্য দেশে পাঠিয়েছিলেন। ট্রেনিং করিয়ে এনেছিলেন। আমরাও সেভাবে আমাদের ছেলেমেয়েদের স্পোটর্সের বিভিন্ন শাখায় ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে দিতে এবং খেলাধুলার জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি, আমাদের সুযোগ একটু সীমিত, তবে আমাদের চেষ্টা রয়েছে। আমরা আরও সুযোগ সৃষ্টি করে দেব। আমাদের ছেলেমেয়েরা যথেষ্ট ভালো করেছে, আরও ভালো করবে। আজকে যারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
খেলাধুলার উন্নয়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে আমাদের খেলোয়াড়রা বিকশিত হচ্ছে। এটা যত অব্যাহত থাকবে, তত বিকশিত হতে থাকবে। এক সময় রিফিউজি হিসেবে ছিলাম। এর পর আমরা বাংলাদেশে আসার পর থেকে এই খেলাধুলাকে প্রাধান্য দিচ্ছি। আমরা খেলাধুলা করা পরিবারের সদস্য।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘খেলাধুলা ও প্রতিযোগিতা যুবসমাজকে পথ দেখায়। যত বেশি খেলাধুলা করবে মন ও শরীর ভালো থাকবে। আর খেলাধুলায় যে প্রতিযোগিতা, তা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে। মাদক ও জঙ্গিবাদে আমরা বিশ্বাস করি না। সেজন্য খেলার সুন্দর পরিবেশ করে দিয়েছি। আমি জানি, এর জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা লাগে। সেটা করে যাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, তারকা খেলোয়াড় ও আয়োজকরা উপস্থিত ছিলেন।