প্রতিনিধি, কুমিল্লা প্রকাশের সময় :৫ নভেম্বর, ২০২২ ৩:১৯ : অপরাহ্ণ
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের বাহিরে দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে নগরের টাউন হল মাঠের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য রাখছিলেন।
তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় আহত হয়েছেন প্রথম আলোর স্থানীয় চিত্র সাংবাদিক এম সাদেক। তার গলায় ছররা গুলি লেগেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এম সাদেক জানান, দলটির দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের গোলাগুলি চলাকালে ছররা গুলিতে আহত হন তিনি।
এ ছাড়া দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে হেলমেট পড়া কয়েকজন যুবক দৈনিক সমকালের ফটোসাংবাদিক এন কে রিপনের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বেলা সাড়ে ১১টায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বেলা পৌনে ১২টার দিকে উদ্বোধনী বক্তব্য শুরু করেন। এ সময় সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আঞ্জুম সুলতানা সীমা দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে চেষ্টা করেন। কিন্তু এমপি সীমাসহ ৮ জনকে ভেতরে প্রবেশ করতে বলায় বিরোধ বাধে।
এ সময় তারা কিছু সময় গেটে বিক্ষোভ করে এবং পরে তারা ফিরে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
পরে এমপি বাহার ও সীমা সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফারণ ও বোতল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমা সাংবাদিকদের অভিযোগ করেন, তিনি শুক্রবার রাতেও দলের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন। নেতারা যেভাবে পরামর্শ দিয়েছেন সেইভাবে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করে সম্মেলনে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু গেটে যেতেই বলা হয় ৮ জন ঢুকতে পারবে, তাই ফিরে এসেছি।
তিনি বলেন, আমি মিছিলের সামনে ছিলাম, পেছন থেকে প্রথমে ককটেল চার্জ করা হয়েছে। সব তো পুলিশ দেখেছে। তারা জানার কথা আমাদের উপর কারা ককটেল মেরেছে।
কোতোয়ালী থানার ওসি মুহাম্মদ হানিফ সরকার বলেন, আওয়ামী লীগের উভয় পক্ষের কর্মীরা কিছু ককটেল চার্জ করেছে, আমরা পরিস্থিতি শান্ত করেছি, বড় ধরনের কিছু ঘটেনি।