রংপুর নগরীর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ আগামীকাল শনিবার। ধর্মঘট থাকায় নানা উপায়ে বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা বৃহস্পতিবার রাত থেকে রংপুরে আসতে শুরু করেছেন।
সমাবেশে রংপুরসহ ৮ জেলার বিএনপির নেতা-কর্মীরা অংশ নেবেন।
আজ শুক্রবার রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠের মিনারের সামনেই শ্রমিকরা কাঠ ও বাঁশ দিয়ে ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৫ ফুট প্রস্থের বিশাল আকৃতির মঞ্চ তৈরি করছেন। রংপুর নগরীর উত্তম স্কুল ও কলেজ মোড়ের একটি গোডাউনে অবস্থান নিয়েছে বিএনপির প্রায় ৫ হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থক। চলছে খাবারের আয়োজনসহ নানা প্রস্তুতি।
ঈদগাহ মাঠ সমাবেশস্থলে বৃহস্পতিবার রাতে লালমনিরহাট ও ঠাকুরগাঁও থেকে এসেছেন আব্দুর রহিম, রশিদুল, মোস্তাফিজ ও রহিদুল ইসলামসহ বিএনপির অনেক কর্মী। তারা সঙ্গে এনেছেন চিড়া-মুড়ি ও কম্বল।
বিএনপির এসব কর্মীরা বলেন, দুদিন থাকতে হবে। আবাসিক হোটেলে থাকার মতো সামর্থ্য নেই তাদের। তাই মাঠে থাকার জন্য এসব খাবার সঙ্গে নিয়ে এসেছেন।
তাদের মতো আরও অনেকেই বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে এখন রংপুরে অবস্থান করছেন।
বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের অনেকে আবাসিক হোটেল, ছাত্রবাস, স্বজন, পরিজন ছাড়াও রংপুর নগরীর বাইরে বিভিন্ন উপজেলার আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে উঠেছেন।
রংপুরে দলের চতুর্থ বিভাগীয় গণসমাবেশে বৃহত্তম গণজমায়েত করতে চায় বিএনপি। ইতিমধ্যেই কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে মঞ্চ বানানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে।
নগরীর প্রতিটি সড়কে বড় বড় তোরণ, ব্যানারের পাশাপাশি ঈদগাহ মাঠের চারপাশে ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে।
রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু বলেন, ‘পুলিশ চেষ্টা করলেও মানুষের স্রোত আটকাতে পারবে না। সমাবেশস্থলে লোকজন বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসতে শুরু করেছেন। গণসমাবেশে লোকসমাগম কমাতে পুলিশ নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের তালিকা তৈরি করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নানানভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে এবং আবাসিক হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে নানান অজুহাতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’
বিএনপির গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
বিএনপি নেতারা বলছেন, রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ হবে একটি পরিচ্ছন্ন সমাবেশ। স্বরণকালের সর্ববৃহৎ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
সমাবেশের দুদিন আগেই পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করেছে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতি। অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে এ ধর্মঘট। শুক্রবার ধর্মঘট ডাকা হলেও বৃহস্পতিবার থেকে সড়ক পথে যানবাহন চলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।