শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪ | ২০ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৩ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা আঞ্চলিক রাজনীতি

আবারো এক মঞ্চে শামীম-আইভী, পাশাপাশি বসেও হলো না কথা


প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ প্রকাশের সময় :২৩ অক্টোবর, ২০২২ ৭:৪১ : অপরাহ্ণ
আজ দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মঞ্চে পাশাপাশি বসেন এ কে এম শামীম ওসমান ও সেলিনা হায়াৎ আইভী। ছবি: সংগৃহীত
Rajnitisangbad Facebook Page

আবারো একমঞ্চে দেখা হলো নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর। কিন্তু এবার দুজন পাশাপাশি বসলেও তাদের মধ্যে কোনো কথা হয়নি।

আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে শামীম ওসমান ও সেলিনা হায়াৎ আইভী একমঞ্চে পাশাপাশি বসেন। কেবল একজন আরেকজনের দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসি বিনিময় করেছেন।

শহরের ইসদাইর এলাকার ওসমান পৌর স্টেডিয়ামে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

নেতা-কর্মীরা জানান, মঞ্চে শামীম ওসমান ও সেলিনা হায়াৎ আইভী কিছুক্ষণ পাশাপাশি বসে ছিলেন। পরে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী মঞ্চে এসে উপস্থিত হলে মেয়র আইভী পাশের চেয়ারে সরে বসেন।

এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে শামীম ওসমান ও সেলিনা হায়াৎ আইভী একমঞ্চে বসেছিলেন। তবে ওইদিনও তাদের মাঝে কোনো কথা হয়নি।

তার আগে গত ১৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইনসে পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এবং ২০ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এক টেবিলে বসেছিলেন তারা। সে সময়ও তাদের মাঝে কোনো কথা হয়নি।

স্থানীয় রাজনীতিবিদরা বলছেন, ১৯৭৩ সাল থেকে আইভীর বাবা পৌর পিতা আলী আহম্মেদ চুনকা ও শামীম ওসমানের বাবা সামসুজ্জোহা থেকে বিরোধ শুরু। বর্তমানেও তারা সেই বিরোধিতার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন।

আইভী ও শামীমের বিরোধ মেটানোর জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ থেকে অনেকবারই চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কোনো সময়ই তারা সফল হতে পারেননি। কিছুদিন নীরব থাকলেও ফের তারা সেই বিরোধপূর্ণ অবস্থানে চলে যান।

সবশেষ চলতি বছরের ৩০ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। এ সময় শামীম ওসমানকে ইঙ্গিত করে কথা বলেন তিনি।

২০১১ সালে প্রথম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইভীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে লক্ষাধিক ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন শামীম ওসমান। এরপর থেকে তাদের বিরোধী এক ধাপ এগিয়ে যায়। ২০১৩ সালে চাঞ্চল্যকর ত্বকী হত্যায় এ বিরোধ বেড়ে যায় বহুগণ।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় নির্বাচনে প্রকাশ্যেই আইভীর মনোনয়ন বিরোধিতা করে মাঠে নামেন শামীম ওসমান। এই নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন আইভী।

সর্বশেষ ২০২২ সালের নির্বাচনেও আইভীর বিরোধিতা করেছিলেন শামীম ওসমান। এ ছাড়া ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে হামলার শিকার হয়েছিলেন আইভী। সেই হামলার ইন্ধনদাতা হিসেবে অভিযোগের আঙুল শামীম ওসমানের দিকেই তুলেছিলেন তিনি।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর