রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৮ অক্টোবর, ২০২২ ৯:১৫ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুসকে (বর্ণাঢ্য র্যালী) ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় র্যালী’ হিসেবে গিনেস বুকে স্বীকৃতি চায় আয়োজনকারী সংস্থা আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট।
রোববার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) দিন গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করবে সংস্থাটি।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে চট্টগ্রামে অর্ধশত বছর ধরে আয়োজন করা হয় জশনে জুলুস। ঐতিহ্যবাহী এই আয়োজনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলামান।
জানা গেছে, ১৯৭৪ সালে চট্টগ্রামে বলুয়ারদিঘী খানকা-এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম জুলসটি বের করে আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট।
১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত এ জুলুসে নেতৃত্ব দেন পাকিস্তানের ছিরিকোট দরবার শরীফের পীর আধ্যাত্নিক সুফি সাধক ছৈয়দ মোহাম্মদ তৈয়ব শাহ (রা.)। তার মৃত্যুর পর এই জুলুসে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন ছৈয়দ মোহাম্মদ তৈয়ব শাহ (রা.) এর সন্তান সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ।
১৯৭৬ সালের পর থেকেই ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ১২ রবিউল আওয়াল চট্টগ্রামের জুলুসের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে, যা ক্রমান্বয়ে দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, দরবার, সংগঠন ও সংস্থাগুলোও আয়োজন করতে শুরু করে।
আয়োজকরা বলছেন, গিনেস বুকে এই জুলুসের স্বীকৃতি মিললে বাড়বে বাংলাদেশের সুনাম, বিশ্বে পৌঁছাবে ইসলামের বার্তা।
আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সহসভাপতি মোহাম্মদ মহসিন জানান, গিনেস বুকে এ ধরণের কিছু একটা রেকর্ড থাকা দরকার, যাতে সারা বিশ্বের সবাই জানুক ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে চট্টগ্রামের ৫০ বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস আয়োজিত হয়ে আসছে।
আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, অর্ধশত বছরের এ আয়োজনে আজ পর্যন্ত কোনও অঘটন ঘটে নাই, এতে কি প্রমাণ করে না রাসূলের নেক বান্দাদের মধ্যে কয়েকজন এখানে আছে।
আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের মিডিয়া উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার জানান, আলহামদুল্লিলাহ, চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত এ জশনে জুলুস পুরো দেশবাসী ও প্রশাসনের কাছে প্রশংসিত।