রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১০:৫৮ : পূর্বাহ্ণ
বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে আজ শনিবার সকালেও গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনার জেরে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এর আগে শুক্রবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের সীমান্তে ৫টি মর্টারশেল হামলায় অন্তত একজন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৪ জন। এ ঘটনার পর ঘুমধুম সীমান্তে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
সন্ধ্যার পর থেকে মিয়ানমার অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলি শব্দ শোনা যাচ্ছে। রাত ৮টার দিকে ঘুমধুম ঘোনার পাড়া সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পরপর ৫টি মর্টারশেল এসে বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে ঘটনাস্থলে একজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে মিয়ানমারের মর্টারশেল হামলায় যুবক নিহত, আহত ৫
জানা গেছে, সন্ধ্যার পর থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি, মর্টারশেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
রাত ৮টার দিকে শূন্যরেখায় বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে এসে পড়ে ৩টি মর্টারশেল। ক্যাম্পের নিকটবর্তী এলাকায় এসে পড়ে আরও ২টি মর্টারশেল। ৫টি মর্টারশেল বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকেই।
আহতদের মধ্যে ৪ জনকে উদ্ধার করে কুতুপালংস্থ এমএসএফ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি চাকমা পাড়া সীমান্তের ৩৫ নম্বর পিলারের সংলগ্ন মিয়ানমারের ১০০ গজ অভ্যন্তর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় আহত হয়েছে স্থানীয় অংথোয়াইং তঞ্চঙ্গা (২২) নামের এক যুবক। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি চাকমা পাড়ার অঙ্গোথোয়াই তঞ্চঙ্গার ছেলে। মাইন বিস্ফোরণে আহত যুবকের একটি পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
স্থানীয়দের বরাতে ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলম বলেন, শুক্রবার সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি চাকমা পাড়া সীমান্তের ৩৫ নম্বর পিলার সংলগ্ন এলাকায় আকস্মিক বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সীমান্তে মিয়ানমারের ১০০ গজ অভ্যন্তরে এক যুবককে আহত অবস্থায় পরে থাকতে দেখেন।
এ বিষয়ে বিজিবি, পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।