শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আঞ্চলিক রাজনীতি

পেয়ারুলের সংবর্ধনা সভায় অংশ নেননি মনোনয়ন বঞ্চিত ১২ নেতা


আজ চট্টগ্রামে পুরাতন রেলস্টেশন চত্বরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এ টি এম পেয়ারুল ইসলামকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ৯:১৯ : অপরাহ্ণ

জেলা পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এ টি এম পেয়ারুল ইসলামকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর পুরাতন রেলস্টেশন চত্বরে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ যৌথভাবে তাকে এ সংবর্ধনা দেয়।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

তবে সভায় এম এ সালাম, শেখ আতাউর রহমান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ এবং দক্ষিণ জেলার কৃষি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ ছাড়া মনোনয়ন বঞ্চিত বাকি ১২ নেতা অংশ নেননি।

এসব নেতারা হলেন-উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক মো. মাঈনুদ্দিন, উপদেষ্টা আবুল হাসেম, রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের মহাসচিব মোহাম্মদ ইউনুছ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, আবুল কালাম চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ রবি, সদস্য আবু সুফিয়ান, আওয়ামী লীগ নেতা লায়ন শামসুল হক, মো. ইদ্রিছ, আবু সাঈদ ও সাবেক ছাত্রনেতা মো. ওসমান গনি চৌধুরী।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘যারা মনোনয়ন চেয়েছিলেন তাদের সবাইকে ফোনে সংবর্ধনা সভার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা হয়তো বৃষ্টির কারণে আসতে পারেননি।’

আরও পড়ুন: জেলা পরিষদ নির্বাচন: চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের নতুন প্রার্থী পেয়ারুল

তবে বৃষ্টিভেজা এ সংবর্ধনা সভায় আওয়ামী লীগের তিন সাংগঠনিক জেলার শত শত নেতা-কর্মী অংশ নেন।

সভায় এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যারা দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন তারা প্রত্যেকে যোগ্য, সিনিয়র এবং আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা। চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তাদের অবদান আছে। তাদের মধ্য থেকে আমাকে মনোনীত করায় মাননীয় সভানেত্রী এবং মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। নির্বাচিত হওয়ার পর মনোনয়ন প্রত্যাশী সব নেতাকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করবো।’

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রশাসক এম এ সালামকে সঙ্গে নিয়ে জেলা পরিষদকে আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘গ্রাম হবে শহর’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদকে মডেল জেলা পরিষদ হিসেবে গড়ে তুলবো।’’

পেয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যার পর স্কুলে পড়া অবস্থায় প্রতিবাদ করতে রাজপথে নামি। এখনো আছি জাতির পিতার আদর্শের পতাকা তলে। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় রাজনীতি করেছি একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য মোকাবেলা করে। যতদিন বাঁচি জাতির পিতার আদর্শ বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাবো।’

মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘জেলা পরিষদগুলোকে বিএনপির সময় থেকে অকোজো করে রাখা হয়। আমাদের দল ক্ষমতায় আসার যোগ্য ব্যক্তিদের প্রশাসক ও চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিয়ে শক্তিশালী স্থানীয় সরকার কাঠামো গড়ে তোলা হয়। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জেলা পরিষদ পরিচালিত হওয়ায় এর মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের দলের মনোনীত প্রার্থী এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের মাধ্যমে সরকার ভিশন বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে পারবেন। তাকে বিজয়ী করার জন্য দলীয়ভাবে আমরা ঐক্যবদ্ধ।’

এম এ সালাম বলেন, ‘এটিএম পেয়ারুল ইসলাম আমাদের দল এবং নেত্রীর মনোনীত প্রার্থী। তিনি তুখোড় ছাত্রনেতা ছিলেন। এখন আওয়ামী লীগ নেতা। তাকে নির্বাচনে বিজয়ী করতে আমরা সবাই ভোট চাইতে মাঠে নামব। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের মাধ্যমে চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমিও তাকে সহায়তা করবো।’

মফিজুর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম যোগ্য প্রার্থী। তিনি রাজনীতির প্রতিটি ধাপে যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে এসেছেন। তিনি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে সফল হবেন।’

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর