চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় বিএনপির মিছিলের সময় দলটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার, থানার ওসি ও বিএনপির নেতা-কর্মীসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৩৫ রাউণ্ড ফাঁকা রাবার বুলেট ছুড়েছে বলে দাবী করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার কালিপুর ইউনিয়নের গুনাগুরি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, নিত্যপণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং ভোলায় দুই নেতার মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে সমাবেশ করার কথা ছিল বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির।
দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশটি ডাকা হয়। পরে সমাবেশ না করে একটি মিছিল বের করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান রাজনীতি সংবাদকে বলেন, বাঁশখালীর পুকুরিয়ায় একটি মাঠে জুমার নামাজের পর প্রতিবাদ সমাবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মাঠটি দখল করে ফেলেন। এরপর আমরা কালিপুর ইউনিয়নের গুনাগুরি এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর বাড়ির সামনে থেকে একটি মিছিল বের করি। মিছিলটি বাঁশখালী সড়কে ওঠার সময় পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। পুলিশের পেছনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মিছিলে পুলিশ ব্যারিকেড দিলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। এ সময় পুলিশ প্রথমে এলোপাতাড়ি লাঠিচার্জ ও পরে নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে রবার বুলেট ছুড়ে। এতে বিএনপির প্রায় ৩৫ নেতা-কর্মী আহত হন।
অপর দিকে ইটপাটকেলের আঘাতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম রশিদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপির মিছিল অনেক দূর যাওয়ার পর, সামনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পার-এমন আশঙ্কায় পুলিশ মিছিলটি ঘুরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করে। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ শটগান থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
তবে সংঘর্ষের সময় পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ছিলেন না বলে জানিয়েছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।