নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :৫ আগস্ট, ২০২২ ৪:৪৭ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত আয়াতুল ইসলাম আয়াত (২০) নামে আরেক শিক্ষার্থী টানা পাঁচদিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে মারা গেছেন। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ১২ জনে দাঁড়ালো।
আজ শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
চমেক হাসপাতালের আইসিইউর চিকিৎসক সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রণয় কুমার দত্ত বলেন, ‘গত সোমবার বিকেলে হাসপাতালের নিউরো-সার্জারি বিভাগ থেকে আহত আয়াতুল ইসলাম আয়াতকে আইসিইউতে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা। তার মাথায় ও ঘাড়ে আঘাত ছিল। মাল্টিপল ট্রমাসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। আজ দুপুর দেড়টার দিকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।’
আয়াত হাটহাজারীর চিকনদন্ডী ইউনিয়নের খন্দকিয়া পাড়ার আব্দুর শুক্কুরের ছেলে। সে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া মাইক্রোবাসের আরও পাঁচ যাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এছাড়া ইমন নামের একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
গত ২৯ জুলাই দুপুরে মিরসরাই উপজেলার বড়তাকিয়া লেভেলক্রসিংয়ে রেললাইনে উঠে পড়া একটি মাইক্রোবাসকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস ট্রেন ধাক্কা দেয়। এতে ১১ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত ছয়জন। মাইক্রোবাসের এক আরোহী অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হন।
দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ১১ জনের সবাই মাইক্রোবাসের আরোহী ছিলেন। তারা সবাই হাটহাজারী উপজেলার চিকনদণ্ডি ইউনিয়নের খন্দকিয়া ও আশপাশের গ্রামের বাসিন্দা। এদের মধ্যে ৯ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী। তারা পিকনিকের উদ্দেশে মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝর্ণা এলাকায় গিয়েছিলেন।