নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :২৩ জুলাই, ২০২২ ১০:৪৬ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বহিষ্কৃত এ দুজন হলেন-আজিম হোসেন (ইতিহাস বিভাগ, শিক্ষাবর্ষ ২০১৯-২০) ও নুরুল আবছার বাবু (নৃবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী)।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সদস্য সচিব প্রক্টর রবিউল হক ভূইয়া।
আজীবন বহিষ্কারের বিষয়ে সহকারী প্রক্টর ড.শহীদুল হক বলেন, এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আর বাকি দু’জন হাটহাজারী সরকারি কলেজের। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাদেরকে সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর বহিরাগত দু’জনকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আজীবন বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হবে। বাকি দু’জন গ্রেপ্তার হয়নি। তাদেরও একই ধরনের শাস্তি থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশের ক্ষেত্রে আজীবন নিষিদ্ধ থাকবে।
এর আগে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-আজিম হোসেন, নুর হোসেন শাওন, নুরুল আবছার বাবু, মাসুদ রানা ও সাইফুল ইসলাম।
আজিম, নুরুল আবছার ও মেহেদী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কর্মী। মেহেদী ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী। আর সাইফুল ইসলাম হলেন বহিরাগত।
গত ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন করে পাঁচ যুবক। ওই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে গাছে বেঁধে বিবস্ত্র করে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণেরও অভিযোগ পাওয়া যায়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা এক বন্ধু প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করা হয়।
এর পরদিন প্রক্টরের কার্যালয়ে মেয়েটি অভিযোগ জানাতে গেলে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বাধা দেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রাত ৯টা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশন চত্বরে নানা কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে দোষীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামেন চবির বিভিন্ন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।