মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
স্থানীয় সময় শনিবার বিকেল ৩টায় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচওর প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস বিশ্বব্যাপী মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারির ঘোষণা দেন। খবর বিবিসির।
বিবিসির খবরে বলা হয়, যে কোনো স্বাস্থ্য সংকটে এটিই ডব্লিউএইচওর জারি করা সবচেয়ে জোরালো সতর্কতা।
ডব্লিউএইচওর প্রধান জানান, এ পর্যন্ত বিশ্বের ৭৫টি দেশে ১৬ হাজারেরও বেশি জনের মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের তথ্য পাওয়া গেছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে অন্তত পাঁচজন মারা গেছেন।
তিনি জানান, ইউরোপ ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন অংশে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ার মধ্যম ঝুঁকি রয়েছে। তবে ইউরোপে এ ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার ঝুঁকি উচ্চ। সম্প্রতি ভারতেও দু’জনের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়।
এর আগে মাঙ্কিপক্সের বিষয়ে আলোচনার জন্য দুই দফায় বৈঠক করে ডব্লিউএইচও। বর্তমানে এ ধরনের আরও দুটি স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা জারি আছে। একটি হলো করোনাভাইরাস মহামারি, অন্যটি পোলিও নির্মূল।
আইইডিসিআর সূত্র জানায়, মাঙ্কিপক্স একটি ভাইরাসজনিত রোগ। ১৯৫৮ সালে ডেনমার্কে বানরের দেহে প্রথম এ রোগ শনাক্ত হয়। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বর, মাথাব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা ও ফুসকুড়ি উঠে যেতে পারে। সাধারণত জ্বরের তিন দিনের মধ্যে এ ফুসকুড়ি ওঠে। উপসর্গ দুই থেকে চার সপ্তাহ স্থায়ী হয়।