শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১০ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা বাণিজ্য

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ছোঁয়া এবার ডিমের বাজারে


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩০ মে, ২০২২ ১:০১ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

বাজারে তেল, পেঁয়াজ, চাল, ডালের জ্বলন্ত উনুনের ছোঁয়া লেগেছে এবার ডিমের বাজারে।

পুষ্টিবিদরা ডিমকে অভিহিত করেন ‘আদর্শ’ খাবার হিসেবে। দেশের নিন্ম আয়ের মানুষের জন্য প্রোটিনের সবচেয়ে সস্তা উৎসও এটা।

এই মুহূর্তে বাজারে প্রায় প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বাড়তি। জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। এরমধ্যে ‘সস্তার’ ডিম কিনতেও এখন বাড়তি পয়সা খরচ করতে বাধ্য হচ্ছেন ভোক্তারা।

ব্যাঘাত ঘটেনি উৎপাদন কিংবা সরবরাহে। তবু অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যোগ দিতেই যেন নিজের দামটা বাড়িয়ে নিলো ডিম। জাতে উঠতেই কিনা সপ্তাহ ব্যবধানে ডজনপ্রতি দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।

গত কয়েক দিন ধরে দাম বাড়তে থাকায় বর্তমানে ঢাকার বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের ডিম (লাল) বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে।

বাজারে মাছ ও মাংসের দামও বেশি। এ কারণে ভোক্তারা ডিম কেনা বাড়িয়েছেন। এতে কিছুদিন ভোক্তারা কম দামে ডিম কিনতে পারলেও সেটি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। হঠাৎ করে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ডিমের ওপর চাপ বেড়ে গেছে।

উৎপাদকদের দাবি, গত কয়েক মাসে মুরগির খাবার হিসেবে ব্যবহৃত সয়ামিল ও ভুট্টার দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। ফলে বেড়েছে উৎপাদন খরচ। এর বাইরে পরিবহন খরচ বাড়ার বিষয়টিও ডিমের মূল্যবৃদ্ধির আরেকটি কারণ।

ডিম উৎপাদকরা বলছেন, করোনাভাইরাস মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক খামারি ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন। যে কারণে ডিমের উৎপাদনও কমেছে।

মিরপুরে বর্ধিত পল্লবী এলাকার ডিমের পাইকারি বিক্রেতা নুরুল আলম শিকদার জানান, গত কয়েক দিন ধরেই ডিমের দাম বাড়তি। এখন তারা প্রতি হালি লাল ডিম বিক্রি করছেন ৪২ থেকে ৪৩ টাকায়।

নুরুল আলমের ভাষ্য, আগে যে ক্রেতারা একসঙ্গে ১ ডজন ডিম কিনতেন, এখন তারা কিনছেন ৮টি করে। আর যারা ৪টি করে কিনতেন, তারা কিনছেন ২টি করে।

ডায়মন্ড এগ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কায়সার আহমেদ বলেন, ‘মুরগির খাবারের ৭৫ শতাংশই আমাদানি করতে হয়। বিশ্ববাজারের খাবার তৈরির কাঁচামালের দাম বেড়েছে। যে কারণে খাবারের খরচও বেড়েছে। এছাড়া কাঁচামালের সংকটের কারণে ফিড মিলাররাও খাবার উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘এখন শ্রমিকের মজুরি ও বিদ্যুৎ খরচও বাড়তি। এতে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন খামারিরা। এমনটা হলে পালিত মুরগি বাঁচিয়ে রাখাটাই কঠিন হয়ে পড়বে। ডিমের দাম আরও বাড়বে।’

বাংলাদেশ এগ প্রোডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিক বলেন, ‘দেশে ডিম উৎপাদন কমে গেছে। যে কারণে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ যথেষ্ট নয়। ফলে দামও বাড়তি।’

উৎপাদকদের হিসাবে, প্রতিদিনের চাহিদা মেটাতে দেশে দৈনিক প্রায় সাড়ে ৩ কোটি থেকে ৪ কোটি পিস ডিম প্রয়োজন।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর