জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
রাজধানীতে ক্যাসিনোকাণ্ডের মূলহোতা হিসেবে পরিচিত সম্রাটকে সাতদিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে মেডিকেল রিপোর্ট না দেখেই কিভাবে স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে বিচারিক আদালত সম্রাটকে জামিন দিল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন হাইকোর্ট।
সম্রাটের জামিনের বিষয়ে হাইকোর্ট জানান, আইন মেনে সম্রাটের জামিন দেননি নিম্ন আদালত। ঘোড়ার আগে গাড়ি চালিয়েছেন তিনি। মেডিকেল রিপোর্ট না নিয়ে আগেই জামিন দিয়েছেন আদালত। ওই বিচারক বিচারিক মানসিকতার প্রয়োগ করেননি।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, নিম্ন আদালত পুরোনো মেডিকেল রিপোর্টের ভিত্তিতে সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেছেন যা মেনে নেননি হাইকোর্ট। আগামী সাত দিনের মধ্যে সম্রাটকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
গত ১১ মে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছিলেন সম্রাট। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান তিন শর্তে ৯ জুন পর্যন্ত সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেছিলেন।
সম্রাটের বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা চারটি হলো- অস্ত্র, মাদক, অর্থপাচার এবং দুদকের দায়ের করা মামলা।
চার মামলার সব কটিতেই জামিন পাওয়ায় ১১ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএসএমইউ) হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে কারামুক্তি পান সম্রাট। তিনি এখনো এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে চিকিৎসাধীন সম্রাটের উন্নত চিকিৎসা দরকার বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম খান।
গত সোমবার তিনি বলেন, যুবলীগ নেতা সম্রাটের চিকিৎসার বিষয়ে বোর্ড মিটিং হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে তার উন্নত চিকিৎসা দরকার। তার চিকিৎসা দেশেও হতে পারে, বিদেশেও হতে পারে।
ক্যাসিনোকাণ্ডে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
