গত বছরের ১৬ এপ্রিল ফেসবুক লাইভে এসে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ‘প্রয়োজনে আমার পরিবারের লোকজনের রক্ত ঝরবে তবু্ও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ওবায়দুল কাদেরকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।’
ফেসবুক লাইভে ও বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে হুমকি ও কড়া ভাষায় বিষোদগার করলেও আজ ইউটার্ন নিয়েছেন মেয়র কাদের মির্জা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে আসেন।
এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ‘বীর ৭১ সম্মাননা’ ক্রেস্ট প্রদান করেছেন তার ছোট ভাইমেয়র কাদের মির্জা।
শুধু তাই নয়, দীর্ঘ ৩৩ মাস পর ওবায়দুল কাদেরের নিজ নির্বাচনী এলাকায় আগমন উপলক্ষে আজ তার গ্রামের বাড়িতে ভোজের আয়োজন করেন তার ছোট ভাই মেয়র কাদের মির্জা। তাতে কয়েক হাজার মানুষের খাবারের আয়োজন ছিল।
তবে ওই অনুষ্ঠানে দাওয়াত পাননি ওবায়দুল কাদেরের অনুসারী ও কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগের মূল অংশের নেতা-কর্মীরা।
ওবায়দুল কাদেরের অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল বেলা তিনটার দিকে ডাক বাংলো এলাকায় ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সেখানে যোগ দেন ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: ওবায়দুল কাদেরের প্রোগ্রামে ১ হাজার মানুষও হয়নি: এমপি একরাম
অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি যখন কোম্পানীগঞ্জে এসেছি আপনাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হইতে হবে। আমি অচিরেই বৈঠক ডাকবো। দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে এ সমস্যার সমাধান করবো।’
২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি পৌরসভা নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণাকালে জাতীয় নির্বাচন, আওয়ামী লীগ নেতাদের অপরাজনীতি, টেন্ডারবাজি, চাকরি-বাণিজ্যসহ নানা বিষয়ে বক্তব্য রেখে আলোচনায় আসেন ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জা।
একপর্যায়ে তিনি দলের মন্ত্রী ও সিনিয়র নেতা এমনকি বড় ভাই ওবায়দুল কাদের ও ভাবি ইশরাতুন্নেসা কাদেরের বিরুদ্ধেও নানা বিষোদগার শুরু করেন।