সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৯ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা আঞ্চলিক রাজনীতি

ওবায়দুল কাদেরের প্রোগ্রামে ১ হাজার মানুষও হয়নি: এমপি একরাম


প্রতিনিধি, নোয়াখালী প্রকাশের সময় :৫ মে, ২০২২ ১০:৪৪ : অপরাহ্ণ
আজ বিকেলে কবিরহাটের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম। ছবি: সংগৃহীত
Rajnitisangbad Facebook Page

নোয়াখালীর মাইজদীতে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের মতবিনিময় সভায় তেমন উপস্থিতি ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘জননেতা ওবায়দুল কাদের সাহেবের প্রোগ্রামে যদি এক হাজার লোকও হয় না, তা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। কারণ কবিরহাটের মানুষ উনাকে এমপি বানিয়েছেন।’

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কবিরহাটের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রায় তিন বছর পর নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আসেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নোয়াখালীর আরেক সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীও রয়েছেন তার গ্রামের বাড়ি কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুরে।

কিন্তু ওবায়দুল কাদেরের নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও সদর উপজেলা সফর, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় এবং পথসভাসহ কোনো অনুষ্ঠানেই উপস্থিত ছিলেন না নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী।

ওবায়দুল কাদেরের নোয়াখালী সফরের দিনে তিনি কী বলছেন সেদিকে নজর ছিল রাজনৈতিক সচেতন মহলের।

সম্প্রতি নোয়াখালীর দুটি আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা দেওয়া প্রসঙ্গে একরামুল করিম বলেন, ‘দুই আসনের কথা বলেছি কারণ কবিরহাটের মানুষ অবহেলিত। এ অবহেলিত মানুষকে বুকের ভিতর টানার জন্য আমি এ ঘোষণা দিয়েছি। কবিরহাটের মানুষ ভালো, কোম্পানীগঞ্জের মির্জার (মেয়র আবদুল কাদের মির্জা) মতো কেউ নেই এখানে।’

আরও পড়ুন: বিষোদগারের পর ওবায়দুল কাদেরকে সম্মাননা দিলেন কাদের মির্জা

ওবায়দুল কাদের ছোট ভাই কাদের মির্জাকে বাঘের মতো ভয় পান বলেও মন্তব্য করেন একরামুল করিম।

তিনি বলেন, ‘আমারই লজ্জা লাগে মায়ের মতো যে ভাবীর অবস্থান তাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে বক্তব্য দেন মির্জা। আর আমি শুধু একটু কথা বলেছি, তাতেই আমার সাধারণ সম্পাদকগিরি বাদ হয়ে গেছে।’

এ সময় ওবায়দুল কাদেরকে ইঙ্গিত করে একরামুল করিম বলেন, ‘কতদিন আপনি বাদ রাখবেন, রাখেন। এখন মানুষ আস্তে আস্তে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য তৈরি হচ্ছে। আমরা কবিরহাটে একজন নেতৃত্ব চাই। আমরা কবিরহাটবাসী সারা জীবন গোলাম হয়ে থাকবো?’

নোয়াখালী-৪ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘কবিরহাট ও সুবর্ণচরের উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করতে একটা শ্রেণি উঠে-পড়ে লেগেছে। এখানে এমপিগিরি করার চিন্তা করেন। আমি স্বতন্ত্র দাঁড়ালেও তারা হেরে যাবেন।’

নিজেকে শেখ হাসিনার কর্মী উল্লেখ করে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আমি দলের হাই কমান্ডে অনেক কথাবার্তা বলেছি। যারা আমাকে সরাতে চাইছেন তারা নিজে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে থাকেন কি না সেটা আমাদের দেখার বিষয় আছে। বেশি বাড়াবাড়ি কিন্তু ভালো নয়।’

কবিরহাট আওয়ামী লীগ এখন তিন ভাগে বিভক্ত জানিয়ে একরামুল করিম বলেন, ‘এক ভাগ নিয়ন্ত্রণ করছে এক গ্রুপ, আরেক ভাগ নিয়ন্ত্রণ করছেন রায়হান (পৌরসভার মেয়র), আরেকটি ভাগ নিয়ন্ত্রণ করছের নজরুল।’

এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আপনাদের নেতৃত্ব যদি ঠিক না থাকে কবিরহাটের মানুষ কেন আপনাদের কাছে যাবে? আপনারা মানুষকে সম্মান দেন না। মানুষের সঙ্গে কথা বলেন না। আপনাদেরকে যারা এমপি নির্বাচিত করে তারা মানুষের সেবা করার জন্যই তো নির্বাচিত করে। এমপিগিরি করার জন্য ঢাকায় বসে থাকলে হবে না।’

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর