শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা দেশজুড়ে

আ.লীগ নেতাদের মারধর করে আবারও আলোচনায় বদি (ভিডিও)


আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি

প্রতিনিধি, কক্সবাজার প্রকাশের সময় :২৩ এপ্রিল, ২০২২ ১০:১৫ : অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের টেকনাফে এবার নিজ দলীয় নেতাদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে।

শুক্রবার ইফতারের আগে টেকনাফ উপজেলা হল রুমে পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা চলাকালে এই ঘটনা ঘটে।

ইতোমধ্যেই হামলার ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওতে দেখা গেছে, বদির নেতৃত্বে তার ভাই আত্মস্বীকৃত ইয়াবাকারবারি আবদুশ শুক্কুর, নুর মোহাম্মদ ওরফে লাস্টিপসহ বদির ক্যাডার বাহিনী সভা চলাকালে হলরুমে ঢুকে একজনকে টেনেহিঁচড়ে মেঝেতে শুইয়ে ফেলেন। একেকজন তাকে একেক দিক থেকে ধরে তুলছেন আর ফেলছেন। আর শুক্কুর ও কয়েকজন সমানে বুকে, শরীরের নানা অংশে লাথি দিচ্ছেন।

মারধরের শিকার ওই নেতা হলেন-টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ইউছুফ (মনো)। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে প্রহারের শিকার হন পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক মো. ইউছুফ ভুট্টো ও উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক।

হামলার শিকার মো. ইউছুফ (মনো) জানান, বর্ধিত সভা চলাকালীন সাবেক সংসদ সংসদ বদি পৌর কমিটিকে ডিঙিয়ে বারবার ওয়ার্ড কমিটিকে প্রাধান্য দিয়ে কথা বলছিলেন। আমি তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করায় সেখানে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বদি মঞ্চ থেকে নেমে হল রুমের বাইরে অপেক্ষমাণ তার ক্যাডার বাহিনীকে ডেকে এনে নিজে সরাসরি এসে আমাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এ সময় আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে যুগ্ম সম্পাদক ইউছুফ ভুট্টোকেও বেধড়ক মারধর করেন বদি ও তার লোকেরা।

ঘটনাটি ভিডিও করতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হককে মারধর করে মোবাইল ছিনিয়ে নেন বদির ক্যাডাররা। প্রতিহত করতে চাওয়ায় পৌর আওয়ামী লীগ নেতা জাহেদ হোসেন মুন্নাকেও হামলার চেষ্টা করা হয়। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনার বিষয়ে আবদুর রহমান বদি একটি গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকে তিনি মারধর করেননি।

তিনি বলেন, যাদের মারধরের কথা বলা হচ্ছে, তারা (ইউছুপ মনু ও ইউছুপ ভূট্টো) আমার আপন মামাতো ভাই ও মামাতো ভগ্নীপতি। টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় জেলা কমিটির নেতাদের সামনে তারা অশোভন আচরণ করেছে। এতে সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এ কারণে রক্তের আত্মীয় হিসেবে শাসন করেছি।

https://youtu.be/hkoQXgRBowI

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর