নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২১ এপ্রিল, ২০২২ ১১:৫৮ : পূর্বাহ্ণ
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই মামলার বাদী পুলিশ আর এক মামলার বাদী নিহত নাহিদ হাসানের চাচা।
পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় একটি মামলায় ব্যবসায়ী-শিক্ষার্থীসহ ২৪ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি মামলায় অন্তত ১২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
বিস্ফোরণ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, জ্বালাওপোড়াও, পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করেছেন নিউমার্কেট থানার এসআই মেহেদী হাসান ও পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়ামিন কবির।
অন্যদিকে সংঘর্ষের সময় নিহত ডেলিভারিম্যান নাহিদ হাসানের চাচা মো. সাঈদ হত্যার অভিযোগ এনে অন্য মামলাটি দায়ের করেছেন।
নিউমার্কেট থানার ওসি স ম কাইয়ুম গণমাধ্যমকে জানান, বুধবার রাতেই মামলা তিনটি রেকর্ড করা হয়। নাহিদ হত্যা মামলায় তার চাচা সাঈদ বাদী হয়ে ১৫০ থেকে ২০০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় একটি মামলায় ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ ৮০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। একইসঙ্গে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলায় ১৫০ থেকে ২০০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাত ১২টার দিকে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী আহত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এসময় আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও।
মঙ্গলবার সকালে আবারও সংঘর্ষে জড়ান শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা। মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে তারা ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। ছাত্রদের অনেকে হেলমেট পরে এবং লাঠি হাতে নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। ব্যবসায়ী-কর্মচারীরাও লাঠিসোটা ও লোহার রড নিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা চালানো শুরু করেন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ সংঘর্ষ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে গোটা নিউমার্কেট ও সায়েন্সল্যাব এলাকায়। থেমে থেমে সারাদিন চলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী এবং প্রায় অর্ধশত ব্যবসায়ী-কর্মচারী আহত হন।
সংঘর্ষের রেশ চলে বুধবার দিনভর। দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন ব্যবসায়ীরা।
বিকেলে ব্যবসায়ীদের বক্তব্য প্রত্যাখান করে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামেন।
এরপর রাতে তারা সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ ভূমিকায় সংশ্লিষ্ট ডিসি, এডিসি ও নিউ মার্কেট থানার ওসির প্রত্যাহারসহ ১০ দফা দাবি জানান।