নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১৬ এপ্রিল, ২০২২ ৮:০১ : অপরাহ্ণ
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘গাধা যেমন জল ঘোলা করে পানি খায়, তেমনি বিএনপিও জল ঘোলা করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’
আজ শনিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
দেশ পরিচালনায় নানা ভুলত্রুটির কথা স্বীকার করে নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা দেশ পরিচালনা করি, আমাদের ভুলত্রুটি থাকতে পারে। তবে আমরা দেশটাকে যত ভালোভাবে চালিয়ে যাচ্ছি, এ দেশকে যা দিয়ে যাচ্ছি, বঙ্গবন্ধুর পর তা এ দেশকে আর কেউ দিতে পারেনি। বিএনপির নেতারা শুধু সমালোচনাই করতে জানে, উন্নয়ন তাদের চোখে পড়ে না। তারা নিজেদের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করেছে। আর শেখ হাসিনা এ দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন।’
করোনা মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটের কথা তুলে ধরে সমালোচকদের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা তুলনা করেন, সমালোচনা করেন। বড় বড় কথা বলেন। আজকে বাংলাদেশের মানুষ যত ভালো আছে অত ভালো কি কোনোদিন ছিল?’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, ৭৫’ পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের মতো এতো ভালোভাবে দেশ কেউ পরিচালনা করেনি। দেশের মানুষ অতীতে কখনো এতো ভালো ছিলো না।’
আরও পড়ুন: আ.লীগের কারণে সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল নেই: মির্জা ফখরুল
চলতি বছর জুনের মধ্যে পদ্মাসেতু খুলে দেওয়ার কথা জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, শতভাগ সততার সঙ্গে পদ্মাসেতুর কাজ শেষ হয়েছে। এই মেগাপ্রকল্পে কোনো বিদেশি ঋণ ছাড়াই নিজস্ব অর্থায়নে, শেখ হাসিনার সাহসে আমরা এই পদ্মাসেতুর কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছি।’
বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন,‘পরিস্কারভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশে অনেক সরকার এসছে। বঙ্গবন্দু হত্যার পর .পঁচাত্তরের পর বহু সরকার। অনেক সরকার ক্ষমতায় এসছে। জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ করেছে। ওয়াদা করেছে, ওয়াদা ভঙ্গ করেছে। বিদেশ থেকে ঋণ এনে ঋণ খেয়েছে। গণতন্ত্রের নামে গণতন্ত্রের মুখোশ পরা বর্ণচোরা। এই রাজনীতিকে সবাই চিনে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন হবে। সমালোচনা করে লাভ নেই, নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হোন। বাংলাদেশে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন হবে। সমালোচনা ও কথার যুদ্ধ বন্ধ করে আসুন নির্বাচনে লড়াই করি।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সানজিদা খানম এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।