প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন জন নানা কথা বলছেন। অনেক কারণে অতীতে বেশ কিছু নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়নি। সেজন্য আমরা চাই, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনটা যাতে অধিক অংশগ্রহণমূলক হয়।’
আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে আয়োজিত সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষাবিদদের পরামর্শ নিতে সংলাপে হাবিবুল আউয়াল কমিশনের প্রথম বৈঠকে ৩০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
কিন্তু ইসির ডাকে সাড়া দিয়ে সংলাপে অংশগ্রহণ করেছেন মাত্র ১৩ জন শিক্ষাবিদ। সাড়া দেননি ১৭ জন শিক্ষাবিদ।
আজকের সংলাপে যে ১৩ জন শিক্ষাবিদ অংশ নিয়েছেন তাদের মধ্যে ১১ জনের নাম নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তারা হলেন-অধ্যাপক সাদেকা হালিম, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার, অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী, অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, ড. আখতার হোসেন, অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান, অধ্যাপক জাফর ইকবাল, অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খান ও অধ্যাপক লায়লাফুর ইয়াসমিন।
সংলাপে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা অধিক অংশগ্রহণমূলক জাতীয় সংসদ নির্বাচন চাই।এজন্য শিক্ষাবিদদের মতামত নিয়ে আরও ঋদ্ধ হবো। ইতোমধ্যে আমাদের সংলাপের উদ্দেশ্য বলা হয়েছে। এটি নবগঠিত কমিশন। এর কাজ হচ্ছে সুষ্ঠুভাবে জাতীয় সংসদ এবং স্থানীয় নির্বাচন সম্পন্ন করা।’
উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন শপথ নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম অফিস করে হাবিবুল আউয়ালের কমিশন। সবার সঙ্গে মতামত নিয়ে সেই আলোকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি করবে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি।
