সম্মেলনের মাধ্যমে গণফোরামের নতুন কমিটি গঠন হয়েছে। নতুন কমিটিতে আবার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা, প্রখ্যাত আইনজীবী ড. কামাল হোসেন।
গণফোরামের বিশেষ কাউন্সিলে নতুন সভাপতি হিসেবে তার নাম প্রস্তাব করা হয়।
পরে উপস্থিত ফোরামের সদস্যরা সে প্রস্তাবে সমর্থন জানায়।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।
কাউন্সিলে জানানো হয়, ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত করার পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদকসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যদের তালিকা নির্ধারণে ২০ সদস্যের একটি সাবজেক্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই সাবজেক্ট কমিটি আলোচনার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বাছাইয়ে কাজ করবেন।
কাউন্সিলে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিক উল্লাহ রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রস্তাব পাঠ করেন।
এ সময় ফোরামের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- মোস্তাক আহমেদ, অ্যাডভোকেট আলতাফ হোসেন, এরআর জাহাঙ্গীর, নাজমুল ইসলাম সাগর প্রমুখ।
এদিকে কাউন্সিলকে ঘিরে গণফোরামের বিবাদমান দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
আজ সকাল সোয়া ১০টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন অংশের নির্বাহী সভাপতি মোকাব্বির খানসহ অন্তত ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
পরে পুলিশ এসে একপক্ষকে ঘটনাস্থল থেকে বের করে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সূত্র জানায়, গণফোরামের কাউন্সিলকে ঘিরে দলটির বিদ্যমান দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
এর একটি অংশ জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে কাউন্সিলের আয়োজন করে। মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন অপরাংশ প্রেস ক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মোকাব্বিরদের অভিযোগ, সকাল ১০টার দিকে ড. কামাল হোসেনের অংশের গণফোরাম কাউন্সিলের জন্য যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখন অপরাংশের নেতা-কর্মীরা প্রেসক্লাবের ভেতরে ঢুকে কাউন্সিলে হামলা করে। তারা চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে।
ঘটনার সময় উভয় অংশের সিনিয়র নেতা ড. কামাল হোসেন কিংবা মোস্তফা মোহসীন মন্টু, সুব্রত চোধুরী কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
