রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১০ মার্চ, ২০২২ ১২:৩৫ : অপরাহ্ণ
ইউক্রেনের ফার্স্টলেডি ওলেনা জেলেনস্কা। ইউক্রেনে দুই সপ্তাহ ধরে চলমান রুশ হামলার মধ্যে হঠাৎ আলোচনায় চলে এসেছেন এই নারী।
যদিও আগে থেকেই সেলিব্রিটি এই ওলেনা। স্কাই নিউজের বৃহস্পতিবারের এক প্রতিবেদনে ওলেনা জেলেনস্কির পরিচয়, তার সঙ্গে জেলেনস্কির পরিচয় নিয়ে বিস্তারিত উঠে এসেছে।
ইনস্টাগ্রামে তার প্রায় ২৫ লাখ ফলোয়ার। এই সুদর্শনীকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যায়।
যুদ্ধ লাগার পর দেশ ছেড়ে পালাননি। তারা বর্তমানে ইউক্রেনেই আছেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৪৪ বছর বয়সী ওলেনা জেলেনস্কার জন্ম ১৯৭৮ সালে। মধ্য ইউক্রেনের ক্রিভি রিহ শহরে তার জন্ম। একই শহরে তার স্বামীও জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
তারা একই স্কুলে পড়ালেখা করেছেন। একে অপরের বন্ধু ছিলেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগ পর্যন্ত তাদের মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠেনি।
ওলেনা জেলেনস্কা পেশায় একজন আর্কিটেক্ট বা স্থপতি। আর জেলেনস্কি আইনে স্নাতক।
৮ বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর তারা ২০০৩ সালে বিয়ে করেন এবং রাজধানী কিয়েভে বসবাস শুরু করেন।
বিয়ের পর একপর্যায়ে লেখালেখিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন ওলেনা। আর জেলেনস্কি কমেডি গ্রুপে ঝুঁকে পড়েন।
এই দম্পতির রয়েছে দুই সন্তান। তাদের একজনের বয়স ৯ বছর অন্যজনের ১৭। কন্যা ওলেকসান্দ্রার জন্ম ২০০৪ সালে আর ছেলে কিরিলিওর জন্ম ২০১৩ সালে।
স্বামীর কমেডি চরিত্রে অভিনয় করা অতটা পছন্দ ছিল না ওলেনার।
২০১৯ সালে ভগ ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটিই ইঙ্গিত দিলে তিনি বলেছিলেন, আমাদের বহু পার্টিতে অংশ নিতে হতো। জেলেনস্কির পাশাপাশি আমাকেও কৌতুক বলতে অনুরোধ করতে হতো। কিন্তু এটি আমার চরিত্রের সঙ্গে যায় না।
ওলেনা লাইমলাইটে আসা শুরু করেন মূলত জেলেনস্কির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারের সময়। ওলেনা তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে স্বামীর হয়ে প্রচার চালান।
সম্প্রতি ইউক্রেনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে ওলেনা জেলেনস্কা লেখেন, ‘আমি তোমার সঙ্গে বসবাস করতে পেরে গর্বিত। আজ আমার কোনো যন্ত্রণা নেই, চোখে পানিও নেই। আমি শান্ত ও দৃঢ় থাকবো। আমাদের সন্তানরা আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি তাদের পাশে আছি। আমি আমার স্বামীর সঙ্গে আছি। আমি তোমাকে ভালোবাসি, ভালোবাসি ইউক্রেন।’
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির দাবি, তিনি রাশিয়ার প্রথম টার্গেট আর তার পরিবার দ্বিতীয় টার্গেট।
দ্বিতীয় টার্গেট হয়েও ইউক্রেনের ফার্স্টলেডি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউক্রেনীয়দের পাশে আছেন, দেশেই আছেন।