বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানকে বহাল রেখে হাইকোর্টের দেয়া রায় চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।
একই সঙ্গে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়েছেন আদালত। অর্থাৎ জায়েদ ও নিপুণ কেউই সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসতে পারবেন না।
৪ সপ্তাহ পরে ফুলকোর্টে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
আজ রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান হাইকোর্টের রায় চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে আদেশ দেন।
এর আগে গত বুধবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।
ওইদিন সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে দ্বন্দ্ব নিরসনে রুল যথাযথ বলে ঘোষণা দেন আদালত।
সেদিন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ বলেছিলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
পরে বৃহস্পতিবার আপিল করেন নিপুণ। তার প্রেক্ষিতে আজ রায় স্থগিত করলেন চেম্বার আদালত।
হাইকোর্টের রায়ের পর গত শুক্রবার শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন জায়েদ খান।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নিপুণকে ১৩ ভোটে হারিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।
ফলাফল না মেনে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনাসহ একাধিক অভিযোগ আনেন নিপুণ।
পরে নির্বাচনী আপিল বোর্ডে জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর পদ বাতিলের আবেদন করেন তিনি।
সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনার দায়ে বিজয়ী প্রার্থী জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করেন। একই সঙ্গে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দেন।
এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন জায়েদ খান। গত ৭ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন নিপুণ।
৯ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থা জারি করেন চেম্বার আদালত।
