রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১১:২১ : অপরাহ্ণ
রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা যুদ্ধ থামানোর উদ্দেশে যে বৈঠকে বসেছিলেন সেটি কোনো সমাধান ছাড়াই শেষ হয়েছে।
সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে প্রিপিয়াত নদীর কাছে ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তের গোমেল অঞ্চলে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের এই বৈঠক শুরু হয়।
বেলারুশের গণমাধ্যম বেল্টা নিউজের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দ্বিতীয়বার আলোচনায় বসার জন্য দুই পক্ষই এখন পরামর্শ করতে তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবে।
কয়েক দিনের মধ্যেই দুই পক্ষ ফের আলোচনায় বসতে পারে।
ওই বৈঠকের আগে শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রত্যাশা করেনি কোনো পক্ষই।
তবে এখন পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে অথবা রাশিয়া তাদের আক্রমণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
বৈঠকের আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছিল, তারা এ মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি এবং রুশ সেনা প্রত্যাহার চায়।
অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রতিনিধিদলের প্রধান ভ্লাদিমির মেদিনস্কি বলছেন, মস্কো এমন এক বোঝাপড়া চায় যাতে দুই পক্ষের স্বার্থ রক্ষা হবে।
আরও পড়ুন:
২ মার্চের মধ্যে যুদ্ধ জিততে চান পুতিন
পারমাণবিক অস্ত্র প্রস্তুত রাখার নির্দেশ পুতিনের
বৈঠক শুরুর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রুশ সেনাদের অস্ত্র নামিয়ে রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন। একই সঙ্গে ইউক্রেনকে দ্রুত সদস্যপদ দেওয়ার জন্য ইইউ-কেও অনুরোধ করেন তিনি।
রোববার এক ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, এই আলোচনার মধ্য দিয়ে সংকট সমাধানে বড় ধরনের কোনো অগ্রগতি হবে বলে আশা করছেন না তিনি। তবে ছোট হলেও এই সুযোগকে তারা ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলাদাভাবে ফোনে কথা বলেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
ফ্রান্সের এলিসি প্রাসাদ সূত্র জানিয়েছে, পুতিনকে এখনই যুদ্ধ থামানোর ব্যাপার ব্যবস্থা নিতে বলেছেন ম্যাঁক্রো।
এলিসি প্রাসাদ সূত্র আরও জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ম্যাঁক্রো পুতিনকে তিনটি অনুরোধ করেছেন। সেগুলো হলো-বেসামরিক লোকদের উপর হামলা না করা, বেসামরিক স্থাপনা সংরক্ষণ করা ও সেগুলোর উপর কোনো হামলা না করা এবং ইউক্রেনের প্রধান সড়কগুলো বিশেষ করে রাজধানী কিয়েভের দক্ষিণের রাস্তাগুলো নিরাপদভাবে চলাচল করতে কোনো বাধা সৃষ্টি না করা।
আর প্রেসিডেন্ট পুতিন এ তিনটি অনুরোধ রাখার ব্যাপারে ম্যাঁকের কাছে নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন এবং ম্যাঁক্রোর সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখার ব্যাপারেও কথা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা করছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট