শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১০ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা আইন-আদালত

ঘুষ লেনদেন: ডিআইজি মিজানের ৩ ও বাছিরের ৮ বছরের কারাদণ্ড


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১:০৫ : অপরাহ্ণ
সাবেক ডিআইজি মিজানুর রহমান ও খন্দকার এনামুল বাছির
Rajnitisangbad Facebook Page

ঘুষ লেনদেনের মামলায় পৃথক দুটি ধারায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে ৮ বছরের কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই মামলায় বরখাস্ত হওয়া পুলিশের সাবেক উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় প্রদান করেন।

এর আগে মিজানকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এবং বাছিরকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আদালতে হাজির করা হয়। বেলা ১১টার পর তাদের কাঠগড়ায় তোলা হয়।

৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

একই বছরের ১৮ মার্চ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

এক নারীকে জোর করে বিয়ের পর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ আসায় ২০১৯ সালে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে মিজানুর রহমানকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

এর চার মাস পর তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান চালায় দুদক। সেই অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান কমিশনের তৎকালীন পরিচালক এনামুল বাছির।

অনুসন্ধান চলাকালে ডিআইজি মিজান দাবি করেন, তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা বাছির। এর পক্ষে তাদের কথোপকথনের কয়েকটি অডিও ক্লিপ একটি টেলিভিশনকে দেন তিনি।

ওই অডিও প্রচার হওয়ার পর নানা আলোচনা শুরু হয়। ঘুষের অভিযোগ ওঠার পর পরবর্তী সময়ে তাদের দু’জনকেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

২০২০ বছরের ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ডিআইজি মিজানকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর