রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৫ জানুয়ারি, ২০২২ ১০:৩৩ : পূর্বাহ্ণ
বিশ্বজুড়ে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন।
এ যাবৎ করোনাভাইরাসের যেসব ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে, ওমিক্রন তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রামক।
করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে টিকাও আটকাতে পারছে না। ফলে অনেক মানুষ পুনরায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
অবশ্য এখন এখন পর্যন্ত পাওয়া গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর চেয়ে ওমিক্রন অপেক্ষাকৃত দুর্বল।
এই ভাইরাস শরীরে ঢোকার পর দ্রুততর সময়ে রোগীর ভেতর উপসর্গ দেখা দেয়।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর ক্ষেত্রে আক্রান্ত হওয়ার পাঁচ থেকে ছয় দিন পর রোগীর শরীরে উপসর্গ দেখা দিয়েছে।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে এই সময় ছিল চার দিনের মতো।
কিন্তু ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর উপসর্গ দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে শরীরে ফুটে উঠতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ কতটা বিপজ্জনক
যুক্তরাষ্ট্রে ডিসেম্বরে প্রকাশিত এক গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, ওমিক্রনের উপসর্গ তিন দিনের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে পড়ছে। অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে এই সময়সীমা গড়ে পাঁচ দিন।
স্পেনের লা রিওহা ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ভিসেন্তে সোরিয়ানো বলেন, ওমিক্রন শরীরে ঢোকার একদিনের মধ্যে তা কাজ করতে শুরু করে দিতে পারে। আর দু’দিনের মধ্যে রোগী শনাক্ত করা যায়।
বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই জানতে পেরেছেন, করোনাভাইরাসের রোগীরা আক্রান্ত হওয়ার শুরুর দিকে সবচেয়ে বেশি সংক্রামক হন।
ওমিক্রনের ক্ষেত্রে আক্রান্ত রোগীর শরীরে উপসর্গ দেখা দেওয়ার একদিন বা দু’দিন আগেই সে অন্যকে আক্রান্ত করতে পারে।
উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত সে অন্যের জন্য ঝুঁকি থাকবে।
ড. সোরিয়ানো বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ওমিক্রন ভাইরাস মাত্র পাঁচ দিনের জন্য সংক্রামক থাকে। অর্থাৎ কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত হওয়ার পর তিন থেকে পাঁচ দিন সে অন্য যে কাউকে সংক্রামিত করতে পারে।’
এই বিজ্ঞানী বলেন, ‘ওমিক্রন ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে সাত দিনের মতো থাকে। ফলে, শরীরে উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর বড়জোর সাত দিন কোনো রোগী অন্যের শরীরে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।’
ড. সোরিয়ানো বলেন, ‘এটি মেডিসিন, গণিত নয়। সুতরাং দু-চার দিন কম-বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।’
শরীরে এখন সংক্রমণ রয়েছে কি-না সেই অনিশ্চয়তা কাটানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা, যেটি র্যাপিড ল্যাটারাল টেস্টিং নামেও পরিচিত।
আরও পড়ুন:
যেসব উপসর্গে বুঝবেন আপনি ওমিক্রনে আক্রান্ত
ওমিক্রন ও সাধারণ ঠাণ্ডার পার্থক্য বুঝবেন যেভাবে