সারা দেশের সব বাস ও মিনিবাস থামার প্রতিটি নির্দিষ্ট জায়গায় প্রকাশ্যে ও যাত্রীদের নিকট সহজে দৃশ্যমান স্থানে ইলেকট্রনিক বিলবোর্ডের মাধ্যমে ভাড়ার তালিকা টাঙাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এক মাসের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিআরটিএর প্রতি এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর করা রিটের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মামুনুর রহমান ও খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিটকারী জানান, রুলে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ১২২ ধারা অনুযায়ী বাস, মিনিবাস তথা গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন না করতে পারার ব্যর্থতা, আইনের ৩৪(৩) ধারার বিধান প্রতিপালনে ভাড়ার তালিকা প্রকাশ্য স্থান ও সহজে দৃশ্যমান স্থানে না টানিয়ে ভাড়া আদায় করার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার ব্যর্থতা এবং আইনের ৩৪(৪) ধারার বিধান মোতাবেক যাত্রীদের নিকট হইতে বাস মালিক, কন্ডাক্টরদের বেশি ভাড়া আদায় বন্ধ করার ব্যর্থতা কেন বেআইনি ও আইন পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এই রুল বিবেচনাধীন থাকায় অবস্থায় এক মাসের মধ্যে বাস থামার প্রতিটি নির্দিষ্ট জায়গায় প্রকাশ্য ও যাত্রীদের নিকট সহজে দৃশ্যমান স্থানে ভাড়ার তালিকা প্রকাশ এবং ইলেকট্রনিক বিলবোর্ডের মাধ্যমে তালিকা প্রদর্শনের জন্য ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে বিআরটিএ’র প্রতি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান আইনজীবী আবু তালেব।
সড়ক পরিবহন আইনের ৩৪ (৩) ধরায় বলা হয়েছে, কোনো গণপরিবহন, সহজে দৃশ্যমান স্থানে ভাড়ার চার্ট প্রদর্শন ব্যতীত, যাত্রী পরিবহন করিতে পারিবে না। ৩৪ (৪) কোনো গণপরিবহনের মালিক, চালক, কন্ডাক্টর, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান উপ-ধারা (২) এর অধীন নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া দাবি বা আদায় করিতে পারিবে না। ১২২ ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
