নানান শঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।
উৎসবমুখর পরিবেশে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ভোটাররা।
এখন ভোট গণনার কাজ শুরু হয়েছে। গণনা শেষে রাতে ফল ঘোষণা করা হবে।
এর আগে আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা চলে ভোটগ্রহণ।
ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হয়।
ইভিএম পদ্ধতিতে দ্রুত ভোট গ্রহণের ধারণা করা হলেও কিছু কিছু কেন্দ্রে খুবেই ধীর গতিতে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
ভোটারদের দীর্ঘ সময় লাইনে ভোট দেয়ার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
সকাল থেকেই ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোটাররা জড়ো হন বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে।
শীত উপেক্ষা করে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হয় ভোটারদের লাইন। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ভোট দিতে দেখা যায় তাদের।
সকালে নৌকা প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ শিশুবাগ স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেন।
ভোট দিতে এসে জয়ের ব্যপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও বিএনপির সাবেক নেতা তৈমুর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দেন।
এ সময় তিনি তার এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন।
নির্বাচন সুষ্ঠু হলে লক্ষধিক ভোটে জিতবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার বলেন, ‘সবকিছু বিবেচনায় সার্বিক পরিবেশ ভালো ছিল। প্রথমদিকে ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল। তবে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বেড়েছে এবং উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হয়েছে।’
২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটির নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৬৯ শতাংশ; তবে ২০১৬ সালে তা কমে ৬২ দশমিক ৩৩ শতাংশে দাঁড়ায়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে এবার ৫ লাখ ১৭ হাজারের ভোটারের মধ্যে কত শতাংশ ভোট দেন, তাই এখন দেখার বিষয়।