নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২ জানুয়ারি, ২০২২ ১১:২১ : অপরাহ্ণ
রাজধানীর উপকণ্ঠে নতুন শহর পূর্বাচলে আয়োজিত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা এখনো জমে ওঠেনি।
শেরেবাংলা নগরের মতো প্রথম থেকেই মেলায় উপচে পড়া ভিড় নেই।
মেলা শুরুর দুইদিন পেরিয়ে গেলেও ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় তেমন একটা নেই, নেই বিকিকিনিও।
যেসব ক্রেতা আসছেন তারা ঘুরে ঘূরে পণ্য যাচাই বাছাই করছেন।
মেলার দ্বিতীয় দিনেও বেশিরভাগ স্টল ও প্যাভিলিয়ন পুরোপুরি সাজানো হয়নি।
চলছে নির্মাণ আর গোছানোর কাজ। কেউ কাঠের মধ্যে রঙ বসাতে ব্যস্ত, কেউ কাঁচের অন্তরালে সাজাচ্ছেন স্টল।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এ সপ্তাহের মধ্যে সব স্টলই পুরোদমে চালু হবে।
দূরত্বের কারণে মেলার শুরু থেকে দর্শনার্থী কিছুটা কম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে ধীরে ধীরে মেলায় ক্রেতা সমাগম ও বিক্রির পরিমাণ বাড়বে বলে আশাবাদী তারা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) যৌথ আয়োজনে এবার নতুন ভেন্যুতে বসেছে বাণিজ্য মেলা।
নানা চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার হাতছানি নিয়ে নতুন বছরের প্রথম দিন বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মাসব্যাপী এই মেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিদেশে করোনার দাপটে এ বছর মেলায় স্টল কিছুটা কমেছে। এবারের মেলায় থাকছে ১১টি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের স্টল।
ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, ইরান, তুর্কিসহ আশপাশের দেশগুলো থেকে আসছেন ব্যবসায়ীরা।
মেলায় সবমিলিয়ে থাকছে প্রায় ২২৫টি স্টল।
আরও পড়ুন: বাজারে এসেছে করোনা চিকিৎসার ট্যাবলেট ‘বেক্সোভিড’, দাম পড়বে যত
রাজধানীর তীব্র যানজটের মধ্যে বাণিজ্যমেলার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হতো শেরেবাংলা নগর, আগারগাঁও, মিরপুরসহ আশাপাশের বাসিন্দাদের।
ব্যস্ততম এই এলাকা থেকে বাণিজ্য মেলা স্থানান্তরের দাবি ছিল দীর্ঘদিন।
রাজধানী থেকে কিছুটা দূরে, কোলাহলমুক্ত পরিবেশে পূর্বাচরে এবার মেলা আয়োজনে স্বস্তিতে ভুক্তভোগীরা।
মেলার স্থান এবার একটু দূরে হওয়ায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আনা-নেওয়ার জন্য কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বিআরটিসির ডাবল ডেকার ৩০টি লাল বাসের ব্যবস্থা করেছেন আয়োজকরা।
কুড়িল থেকে বাস ছাড়ার পর মাত্র ৩৫-৪০ মিনিটে বাণিজ্য মেলায় পৌঁছানো যাচ্ছে।
বাসে যাত্রীদের কাছ থেকে টিকিটের দাম নেওয়া হচ্ছে ৫০ টাকা।
আয়োজকরা জানান, প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে মেলা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
আগের মতো এবারও মেলায় প্রবেশের টিকেটের দাম শিশুদের জন্য ২০ টাকা আর বড়দের জন্য ৪০ টাকা।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, মেলায় আগতদের গাড়ি রাখার জন্য বৃহৎ পরিসরে পার্কিং সুবিধা রয়েছে।
আরও পড়ুন: পরিচয় জানা গেলো সেই আইসক্রিমওয়ালার, যার ভক্ত দেড় মিলিয়ন (ভিডিও)
পার্কিংয়ের জন্য কেন্দ্রের পাশেই রাজউকের পানির প্ল্যান্ট ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সেখানে রাখা যাবে এক হাজার গাড়ি।
সেন্টারের দোতলা পার্কিং বিল্ডিংয়ে রাখা যাবে ৫০০টি গাড়ি। এক্সিবিশন বিল্ডিংয়ের সামনের খোলা জায়গায় রাখা যাবে আরও এক হাজার গাড়ি।
উল্লেখ্য, করোনার কারণে গতবছর বাণিজ্যমেলা অনুষ্ঠিত হয়নি।
ওই বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারটি বাণিজ্য মেলার জন্য হস্তান্তর করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
গত ২১ অক্টোবর প্রদর্শনী কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই সেন্টারটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭৭৩ কোটি টাকা।
১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে অস্থায়ী জায়গায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য মেলা ঘিরে ফ্ল্যাট বাণিজ্য, ৫ হাজার টাকার ভাড়া এখন ৪০ হাজার!